নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৬ আগস্ট।। মেয়েকে দেখতে গিয়ে মেয়ের শ্বশুর-শাশুড়ি হাতে ধারালো অস্ত্রের দ্বারা আক্রান্তের শিকার মা মিঠুয়ারা বেগম। ঘটনা মধুপুরের মতি নগর এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে।মেয়েকে দেখতে গিয়ে মেয়ের শ্বশুর শাশুড়ির ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হয়েছেন মা।ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার বেলা দশটা নাগাদ মধুপুর মতি নগর এলাকায় মিঠুয়ারা বেগম তার মেয়েকে দেখতে যান । মেয়ে সুপ্রিয়া বেগমের বিয়ে হয়় বিশালগড় কদমতলী এলাকায় দেলুমিয়ার ছেলের সাথে । বিশালগড় কদমতলী এলাকায় দেলোমিয়ার বাড়িতে পৌছামাত্র শ্বশুর ও শাশুড়ির অস্ত্রের এলোপাতাড়ি আঘাতে আহত হয় মিঠুয়ারা বেগম। স্থানীয় এলাকাবাসী দেখতে পেয়ে দ্রুত খবর দেন বিশালগড় অগ্নিনির্বাপক দপ্তরের কর্মীদেরকে। তারা ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত মিঠুয়ারা বেগমকে বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায়। বিশালগড় মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মিঠুয়ারা বেগমকে আগরতলা টিএমসি তে রেফার করেন। প্রকাশ্যে দিবালোকে মেয়ের শ্বশুর ও শাশুরির অস্ত্রের আঘাতে জখম হন মিঠুয়ারা বেগম। এ বিষয়ে বিশালগড় মহিলা থানায় শ্বশুর শাশুড়ির বিরুদ্ধে মামলা করবেেন বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য ,অভিযুক্ত শাসকদলের নেতা দেলু মিয়া ও ওনার স্ত্রী রোমানা বেগমের তাণ্ডবে বিশালগড় কদমতলী এলাকার জনগণ অতিষ্ঠ। গোমতী জেলার উদয়পুর থেকে বড়টিলা যাওয়ার রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল অবস্থায় পড়ে রয়েছে। বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে না। ফলে যানবাহনের চালক থেকে শুরু করে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে জনগনকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। দীর্ঘ আট থেকে দশ বছর ধরে উদয়পুর – বড়টিলা রাস্তার বেহাল অবস্থা।উদয়পুর পুরানো মোটর স্ট্যান্ড থেকে প্রতিদিন প্রায় ৪০ থেকে ৫০ টি অটো উদয়পুর বড়টিলা হয়ে পিএা কিল্লা, নিত্যবাজার যাতায়াত করে যাত্রী নিয়ে। আবার সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন এই রাস্তা দিয়ে অম্পি, অমরপুর তেলিয়ামুড়া বড় গাড়ী যাতায়াত করত।কিন্তু রাস্তা খারাপের ফলে বড় গাড়ী আর যাতায়াত করে না।ছোট অটো গাড়ীও রাস্তা খারাপের জন্য যেতে চায় না।
যে কয়েকটা গাড়ী যাতায়াত করে সেই গাড়ি গুলি যাএীদের কাজ থেকে বেশি ভাড়া আদায় করে চলেছে বলে অভিযোগ। এদিকে গাড়ী চালকদের অভিযোগ রাস্তা খারাপের জন্য তাদের গাড়ী চালাতে ইচ্ছে করে না।কারণ হিসাবে বলেন প্রতিদিন গাড়ী চালিয়ে যে টাকা উপার্জন করেন তার থেকে বেশি খরচ হচ্ছে গাড়ী মেরামতের জন্য। এমন কি দিনে-রাএে এলাকার কেউ যদি অসুস্থ হয় তাদের চিকিৎসার জন্য চিকিৎসকের কাছে কিংবা হাসপাতালে নিয়ে যেতে খুবই কষ্ট হয়।অপর দিকে গর্ভবতী মায়েদের মহকুমা হাসপাতালে কিংবা গোমতী জেলা হাসপাতালে নিয়ে যেতেও খুবই কষ্ট হয়।রাস্তা মেরামতির জন্য বহুবার পঞ্চায়েত ও পূর্ত দপ্তরকে জানিয়েও কোন কাজের কাজ কিছু হচ্ছে না। এদিকে রাস্তা নির্মাণ করার দাবিতে বহুবার অতীতে এলাকার জনগণ থেকে শুরু করে গাড়ী চালকরা রাস্তা অবরোধও করেছিলেন।অবরোধ স্থলে এসে প্রতিবারেই প্রশাসন থেকে বলে গেছে ইতিমধ্যেই রাস্তার কাজ শুরু হবে। আজও রাস্তাার কাজ শুরু হয়নি ।গাড়ী চালক থেকে শুরু করে এলাকাবাসিদের দাবি রাস্তাটি যেন মেরামত করে দেওয়া হয়।এখন দেখার বিষয় কবে নাগাদ রাস্তাটি মেরামতের জন্য হাত বাড়ায় দপ্তর।