নয়াদিল্লি, ১ আগস্ট (হি.স.): দেশে করোনার ‘আর ভ্যালু’ বাড়ছে। এই অবস্থায় টিকাকরণই একমাত্র ভরসা । করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কার মধ্যেই এমনটাই জানালেন অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া।
এই মুহূর্তে ভারতে সংক্রমণ বৃদ্ধিতে প্রধান ভূমিকা নিচ্ছে ডেল্টা রূপ। ডেল্টার হাত ধরেই ভারতে তৃতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই অবস্থায় দেশে করোনার ‘আর ভ্যালু’বাড়ার কথা জানিয়ে অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এইমস)-এর প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া বলেন, ‘‘করোনার আর ভ্যালু .৯৬ থেকে বেড়ে ১ হয়েছে। এটা চিন্তার বিষয়। এর মানে এক জন আক্রান্তের থেকে অন্যদের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। যে এলাকায় সংক্রমণ বাড়ছে সেখানে বেশি নমুনা পরীক্ষা, সংক্রমণের উৎস সন্ধান ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।”
তিনি আরও গুলেরিয়া বলেন, ‘‘হাম বা চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে আর ভ্যালু প্রায় ৮। অর্থাৎ এক জনের থেকে আট জনের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আমরা দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় দেখেছি এক জনের থেকে পুরো পরিবারকে আক্রান্ত হতে। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রেও এটাই হয়। ডেল্টা রূপে আক্রান্ত এক জনের পক্ষে গোটা পরিবারকে আক্রান্ত করার ক্ষমতা রয়েছে।”
ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে সেরো সার্ভেতে দেখা গিয়েছে অ্যান্টিবডির পরিমাণ অনেকটাই। তবে এই বিষয় নিয়ে বেশি খুশি হওয়ার কারণ নেই বলেই জানিয়েছেন গুলেরিয়া। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দেখেছি আগে কেরলে অ্যান্টিবডি অনেক বেশি ছিল। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে সংক্রমণ বাড়ছে। কারণ একটা সময়ের পরে শরীরে অ্যান্টিবডির পরিমাণ ও ক্ষমতা দুইই কমতে থাকে। ফলে একমাত্র টিকাই ভরসা। যত দ্রুত সম্ভব সবাইকে টিকা দেওয়া দরকার।” তবেই দেশে সংক্রমণ কমানো যাবে বলে মনে করেন এমস প্রধান।