BRAKING NEWS

আফগানিস্তানে বেড়েছে নারী ও শিশু হতাহতের সংখ্যা

জেনিভা, ২৬ জুলাই (হি. স.): আফগানিস্তানে ঝুঁকির মধ্যে আছে মহিলা ও শিশুরা । সোমবার এমনটাই প্রকাশ্যে এসেছে রাষ্ট্রসংঘ এক প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানে ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে হতাহত নারী ও শিশুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৯ সালে রাষ্ট্রসংঘ নিয়মতান্ত্রিকভাবে গণনা শুরু করার পর থেকে যে কোনও বছরের প্রথম ছয় মাসের তুলনায় আফগানিস্তানে ২০২১ সালের প্রথমার্ধে বেশি মহিলা এবং শিশু হতাহত হয়েছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২১ সালের প্রথম ছয় মাসে এক হাজার ৬৫৯ জন নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন ৩ হাজার ২৫৪ জন, যা গত বছরের প্রথম ছয় মাসের চেয়ে ৪৭ শতাংশ বেশি। চলতি বছরের প্রথম ছয় মাসে ৪৬৮ শিশু নিহত হয়েছে, যা মোট সংখ্যার প্রায় ৩০ শতাংশ। আর আহত হয়েছে ১,২১৪ জন। মহিলা নিহত হয়েছেন ২১৯ জন, আহত হয়েছেন ৫০৮ জন। শুধু মে ও জুন মাসে নিহত হয়েছেন ৭৮৩ জন এবং আহত হয়েছেন এক হাজার ৬০৯ জন। এর মধ্যে ৩৯ শতাংশ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তালেবান, ৯ শতাংশ ইসলামিক স্টেট, ১৬ শতাংশ অজ্ঞাত, ২৩ শতাংশ সরকারি বাহিনী এবং ২ শতাংশ সরকারপন্থি সশস্ত্রগোষ্ঠী জড়িত বলে অভিযোগ করা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাকি ১১ শতাংশ নিহত হয়েছেন বন্দুকযুদ্ধে।


প্রতিবেদনে বলা হয়, মে মাসের পর থেকেই মূলত মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বাড়ছে। কারণ এ সময় থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ন্যাটো ইতইমধ্যে আফগানিস্তান থেকে ৯৫ শতাংশ সেনা প্রত্যাহার নেওয়ার মধ্যে বেড়েছে সংঘাতের তীব্রতা। একই সঙ্গে ৩১ আগস্ট সেখান থেকে শতভাগ সেনা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে।

এবিষয়ে আফগানিস্তানবিষয়ক রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ দূত ডেবোরাহ লিয়নস বলেন, ‘সাধারণ নাগরিকদের ওপর এই সংঘাতের মারাত্মক প্রভাবের দিকে তালেবান ও আফগান নেতাদের মনোযোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’ তিনি আরও বলেন, এই প্রতিবেদন একটি স্পষ্ট বার্তা। যদি সংঘাত দ্রুত শেষ না হয়, তবে বহু মানুষের প্রাণ যাবে।


আফগানিস্তান থেকে বিদেশি সেনা প্রত্যাহার প্রক্রিয়া শুরুর পর থেকে তালিবান দেশটির গুরুত্বপূর্ণ বহু স্থলবন্দর, গুরুত্বপূর্ণ অসংখ্য জেলা দখলে নিয়েছে। একই সঙ্গে বহু প্রাদেশিক রাজধানীতে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে লড়াই করছে ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *