BRAKING NEWS

Success of TRLM : রাজ্যে টিআরএলএম-র সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরলেন গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৪ জুলাই।। ত্রিপুরায় সরকার পরিবর্তনে ত্রিপুরা রুরাল লিভলিহুড মিশন (টিআরএলএম)-র অভূতপূর্ব সাফল্য মিলেছে। তার খতিয়ান সবিস্তারে বর্ণনা দেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রী জিষ্ণু দেব্বর্মা।


তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বাজেট বাড়ানোর সাথে সাথে টিআরএলএম-র কার্যক্রম ১৮টি ব্লক থেকে ৫৮টি ব্লকে প্রসারিত করতে সক্ষম হয়েছি। সাথে তিনি যোগ করেন, ২০১৮ সালের ১ এপ্রিল থেকে রাজ্যে মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি এক লাফে পূর্বেকার তুলনায় অনেক অগ্রগতি হয়েছে। তাঁর দাবি, গত তিন বছরে রাজ্যে টিআরএলএম দ্বারা সর্বমোট ২৩,১৫১ জন মহিলাকে স্বসহায়ক দল প্রকল্পের দ্বারা উন্নীত করা হয়েছে। ২০১৪-১৫ থেকে ২০১৭-১৮ পর্যন্ত টিআরএলএম দ্বারা পদোন্নতিত মহিলা স্ব-গোষ্ঠীর সংখ্যা ছিল মাত্র ৪,০৬১টি। কিন্তু বর্তমান সরকারের প্রচেষ্টায় মহিলা স্ব-গোষ্ঠীগুলির উন্নয়নে ৫.৫ গুণ বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়েছে।


তিনি বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র মহিলাদের অর্থনৈতিক উন্নতি ও মর্যাদার জন্য ২০১৮-১৯ অর্থবছর থেকে মহিলা স্বসহায়ক দলসমূহ এবং তাদের গ্রাম, ক্লাস্টার লেভেল ফেডারেশনস (সিএলএফ)কে বর্তমান সরকার ১৩৪.৫৫ কোটি টাকা কমিউনিটি ফান্ড হিসেবে বরাদ্দ করেছে, যা পূর্বেকার তুলনায় ৪.৬ গুণ বেশি। তিনি জোর গলায় বলেন, স্বসহায়ক দলগুলিতে গড় পরিমাণ কমিউনিটি ইনভেস্টমেন্ট ফান্ড(সিআইএফ) প্রদানের ক্ষেত্রে সমস্ত উত্তর-পূর্ব এবং উত্তর-পশ্চিম রাজ্যেগুলোর মধ্যে ত্রিপুরা শীর্ষস্থানে রয়েছে।


সাথে তিনি যোগ করেন, আরও অর্থনৈতিক সহায়তার জন্য ২০১৮ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে মহিলা স্বসহায়ক দলগুলিকে ২২৫.০৮ কোটি টাকা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। যদিও ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ঋণ প্রদানের মোট অর্থরাশি ছিল মাত্র ৪.৯6 কোটি টাকা যা বর্তমান সরকারের সময়ের তুলনায় অনেক অনেক কম।
তিনি বলেন, বর্তমানে টিআরএলএমের মহিলা স্বসহায়ক দলগুলি জীবিকা নির্বাহ ও অন্যান্য দাবির জন্য স্ব-সহায়ক গোষ্ঠির সদস্যদের মধ্যে ৪০০ কোটি টাকার মত কর্পাস হয়েছে। যা গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে অত্যন্ত সুখবর এবং উৎসাহ ব‍্যঞ্জক।
তাঁর দাবি, স্ব-সহায়ক গোষ্ঠির ব্যাংকের ঋণ এনপিএ হার ২০২১ সালের ৩১ মার্চ মাত্র ২.৬৩ শতাংশ। ত্রিপুরার ইতিহাসে স্ব-সহায়কের অর্থায়নের ক্ষেত্রে সর্বকালের সর্বনিম্ন এনপিএ। তিনি বলেন, ২০১৮-১৯ সাল থেকে আজ অব্দি এই কম সময়ের মধ্যে টিআরএলএম 2টি জাতীয় পুরষ্কার পেয়েছে যা এই রাজ‍্যের জন্য অত্যন্ত একটি সুখবর।
তিনি জানান, মহিলা স্বসহায়ক দল এবং তাদের ফেডারেশনগুলির মান উন্নয়নের জন্য ২০২০-২১ অর্থ বছরে ৪২,৫৫১টি মহিলাদের স্ব-সহায়ক দলগুলো প্রাথমিক জীবিকার ক্রিয়াকলাপের ক্ষেত্রে সরাসরি যুক্ত যার মধ্যে রয়েছে অ-রাসায়নিক ধান চাষাবাদ, জৈবিক সবজি চাষ, বৈজ্ঞানিকরূপে ছাগল পালন, মাছ চাষ, পুষ্টি বাগান, শূকর, উদ্যান, মাশরুম চাষ ইত্যাদি। তাঁর কথায়, কৃষিক্ষেত্রে মহিলা স্বসহায়ক দলগুলোর সদস্যদের ভারী কাজের বোঝা হ্রাস করার জন্য এসএইচজি-র ভিলেজ অর্গানাইজেশন দ্বারা প্রায় ১৫০টি কাস্টম হায়ারিং সেন্টার পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মহিলা স্ব-সহায়ক দলগুলোর সদস্যদের দ্বারা উৎপাদিত পণ্যের বাজারে যাতে আরও ভাল দাম পায় তার জন্য, আজিবিকা গ্রামীণ এক্সপ্রেস যোজনা (এজিইওয়াই) এর অধীনে এসএইচজি ফেডারেশনগুলির সরল লোনের মাধ্যমে মহিলা সদস্যদের ২০টি গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *