BRAKING NEWS

More schools in Tripura in CBSE : ত্রিপুরায় আরও ৭১টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে : শিক্ষা মন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২২ জুলাই।। গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে আরও ৭১টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে ত্রিপুরা সরকার। আজ শিক্ষা ভবনের কনফারেন্স হলে সম্প্রতি ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত বিদ্যালয়গুলোর প্রধান শিক্ষক, শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ জেলা শিক্ষা আধিকারিকদের ৩ দিনব্যাপী পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আয়োজিত ভার্চুয়াল ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের সূচনা করে একথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী রতনলাল নাথ। তাঁর কথায়, নতুন সরকারের তিন বছরের কার্যকালে ১৩০টি বাংলা মাধ্যমের বিদ্যালয়কে ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ফলে ত্রিপুরায় বর্তমানে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫৭। তাঁর দাবি, ২০১৮ সালের আগে ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ১২৭টি।


এদিনের ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে এবছর ইংরেজি মাধ্যমে রূপান্তরিত ৫৯টি বিদ্যালয়ের ১৭৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা, প্রধান শিক্ষক সহ ৮টি জেলার জেলা শিক্ষা আধিকারিকগণ অংশগ্রহণ করেন। ৭ জন রিসোর্সপার্সন এই কর্মসূচির মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের ইংরেজি মাধ্যম বিদ্যালয় পরিচালনা, ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ইংরেজিতে কথা বলা ও বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা বাড়াতে সহায়তা করবেন। এই কর্মসূচি আগামী ২৪ জুলাই পর্যন্ত চলবে।


অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, ছাত্ররাই দেশের ভবিষ্যৎ। তাই ত্রিপুরা সরকার প্রথম থেকেই গুণগত শিক্ষার মানোন্নয়ন কাজ করে চলছে। ইতিমধ্যে ত্রিপুরার শিক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে শিক্ষা দপ্তর এন সি ই আর টি সিলেবাস, সুপার-৩০, মুখ্যমন্ত্রী বিএড অনুপ্রেরণা যোজনা, শিক্ষাবর্ষের পরিবর্তন, সারা রাজ্যে একই প্রশ্নপত্র সহ ২৫টি বিভিন্ন ধরণের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে ২৯টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই বোর্ডের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। রাজ্যে গুণগত শিক্ষা সম্প্রসারণে আরও ৭১টি বিদ্যালয়কে সিবিএসই বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যা ত্রিপুরার মত ছোট রাজ্যের ক্ষেত্রে চিন্তাই করা যায় না।


তিনি বলেন, সিবিএসই-এর ছাত্রছাত্রীদের সাথে রাজ্য বোর্ডের ইংরেজি মাধ্যমের ছাত্রছাত্রীদের প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার যোগ্য করে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষক-শিক্ষিকারা যাতে অগ্রণী ভূমিকা নিতে পারেন সেই লক্ষ্যেই এই ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের আয়োজন করা হয়েছে। বিদ্যালয় পুনরায় খোলা সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য দপ্তরের পক্ষ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই বিদ্যালয় খোলা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *