BRAKING NEWS

ডাইনি অপবাদ, আজও জনজাতিরা ওঝার দ্বারস্থ হন

তেলিয়ামুড়া, ১৭ জুলাই : রাজ্যের জনজাতিদের একাংশের মধ্যে এখনো ডাইনি প্রথা প্রচলিত রয়েছে। ডাইনি ছাড়ানোর নামে ওদের কাছে দৌড়ঝাঁপ করে উপজাতিরা সর্বশান্ত হচ্ছে। আধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা তাদের কাছে তুচ্ছ বলে মনে হচ্ছে। আধুনিক বিজ্ঞান প্রযুক্তি ও চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও উপজাতিদের মধ্যে এ ধরনের প্রথা এখনো বিশ্বাসযোগ্য হওয়ার বিষয়টি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।


সভ্য সুশীল সমাজ ব্যবস্থায়’ ডাইনি অপবাদ এখনও বিদ্যমান। এটি মূলত প্রত্যক্ষ করা যায় এরাজ্যের জনজাতিদের মধ্যে। এ থেকে নিস্তার পেতে ডাইনী আশ্রিত পরিবারের লোকজনরা ওঁঝার সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করে এ পান্ত থেকে ও প্রান্ত। বর্তমান ডিজিটাল যুগ বা বিজ্ঞানের যুগেও এমন করুণ অবস্থা প্রত্যক্ষ করা যাচ্ছে যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মূলত এ রাজ্যের প্রত্যন্ত এলাকা গুলোর জনজাতি অংশের মানুষজনদের মধ্যে এখনো শিক্ষার আলো যথাযথভাবে পৌঁছায়নি। উপযুক্ত শিক্ষার অভাবেই জনজাতিদের মধ্যে এখনো ডাইনি প্রথা অব্যাহত রয়েছে। ডটকমের যুগেও ডাইনি অপবাদে হামলা ও হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে চলেছে।


এ অবস্থায় জনজাতি এলাকাগুলোতে এ বিষয়ে বিশেষ করে অসচেতন অশিক্ষিত জনজাতি জনগণকে সচেতন করতে সচেতনতা শিবির করা প্রয়োজন। এই ডাইনী বিষয়ে তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামী ব্লকের অধীনে নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের এক জনজাতি ভদ্রলোক জানান, কোনো মানুষের মধ্যে ডাইনী আশ্রিত হলে মানুষটি অখেলোভাব আসে, উদর ব্যথা, অট্টহাসি সহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। তাদের ধারণা হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবায় এই রোগ নিরাময় হয় না। তারা তখন ওঝার সন্ধানে দৌড়ঝাঁপ করে হাঁস, মুরগ,ডিম নিয়ে। পেটুয়া ওঝারা তখন দৈবশক্তির পূজার্চনার বিধান দেয়। ডাইনী তকমা থেকে বাঁচতে ওঁঝার সন্ধানে তৈদুর তৈছলং, গডক -১, কমলপুরের দুর্গাবস্তি সহ বিভিন্ন জায়গায় যায় ডাইনী ছাড়ানোর জন্য। বিজ্ঞানের যুগেও একাংশ উপজাতি অন্ধকার জগতে পড়ে আছে। অধুনা চিকিৎসা ব্যবস্থাকে অবজ্ঞা করে চলেছে তারা।


অবশ্য এর জন্য শুধুমাত্র ঐসব জনজাতি অংশের মানুষজনকে একতরফাভাবে দায়ী করে লাভ নেই। এর দায় সরকার, প্রশাসন, বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও রাজনৈতিক সংগঠন গুলিকেও অস্বীকার করতে হবে। ডাইনি প্রথা সম্পর্কে জনজাতি অংশের জনগণকে সচেতন করা সম্ভব হলে এ ধরনের অঘটন ঘটত না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *