BRAKING NEWS

Stop harassing : চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে যানবাহনের চালকদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি উঠেছে

চুরাইবাড়ি, ১৭ জুলাই।। চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে যানবাহনের চালকদের হয়রানি বন্ধ করার দাবি উঠেছে। অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর চুড়াইবাড়ি গেট সফরের পর থেকেই হয়রানির শিকার লরি চালকরা।অনিয়ম ও জোচ্চুরি দূর করার জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব গত কিছুদিন আগে চুড়াইবাড়ি চেকপোষ্ট স্থাপন করেন। আর তাতেই বিপত্তি। অভিযোগ উত্তর জেলার চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর থেকে লরি চালকদের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা।কোন কোন চালক রাজ্যে আসার ক্ষেত্রে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। নিয়ম কানুনের অজুহাতে যেসব হয়রানি করা হচ্ছে তা বন্ধ করে সুষ্ঠ সমাধানের দাবি জানিয়েছেন লরি চালকরা।


উল্লেখ্য গত ৯ জুন চুরাইবাড়ি চেকপোস্টে ঝটিকা সফর করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব। টানা তিন ঘণ্টা ঝটিকা সফরে অনেক অনিয়ম মুখ্যমন্ত্রীর নজরে আসে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে নির্দেশ দেওয়া হয় যে,রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে লরি গুলিকে ওজন করে রাজ্যে প্রবেশ করতে হবে। হোক খালি অথবা লোড। সবার ক্ষেত্রে নিয়ম প্রযোজ্য হবে।বাইক অথবা যাত্রীবাহী গাড়ি, বহি রাজ্য থেকে আসা বেরিয়ে যাওয়া খালি ও লোড গাড়ি সম্পূর্ণ বৈধভাবে ছাড়পত্র দিয়ে রাজ্য থেকে বেরিয়ে যাবে। তারপর থেকেই শুরু হয় চালকদের চরম হয়রানি। হয়রানির শিকার হন যাত্রীরাও। দেখা দেয় চালক ও যাত্রীদের মধ্যে প্রচন্ড ক্ষোভ। কিছুদিন আগেও অনির্দিষ্টকালের জন্য চাকা জ্যাম করে বসেছিল এলপিজির বুলেট গাড়ির চালকরা।

তাদের দাবি পূর্বের ন্যায় তারা রাজ্যে প্রবেশ করবে ,অন্যথায় তাদের চরম হয়রানির শিকার হতে হয়। এক দুদিন চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে গাড়ির লাইনেই অপেক্ষা করতে হতো তাদের। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরে তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে ক্ষুব্দ বুলেট চালকদের মানভঞ্জন করানো হয়। রাজ্যের ও বহিঃ রাজ্যের যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী লরি চালকরা রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে চরম হয়রানির অভিযোগ এনে বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চুরাইবাড়িতে এসে রাজস্ব বৃদ্ধির জন্য লরি চালকদের পেটে লাথি মেরেছেন।রাজ্য সরকার রাজস্ব পাক তাতে চালকদের কোন ক্ষোভ নেই। কিন্তু প্রথমত দুটি কাটা বিকল হওয়াতে একটি কাটা দিয়ে পরিমাপ করে রাজ্য প্রবেশের ক্ষেত্রে লাগছে গাড়ির দীর্ঘ লাইন। একদিকে করোনা আর অপরদিকে মুখ্যমন্ত্রীর নিত্য নতুন আইনে চালকদের পরিবার প্রতিপালন করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে।চালকদের আরো অভিযোগ,মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পর থেকে নিত্য নতুন নিয়ম কানুনের দরুন চালকরা‌ আজ নাজেহাল।অনেক চালকরা আর ত্রিপুরায় আসবেন না বলেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন। চালকদের অভিযোগ,ত্রিপুরা রাজ্যের মত পাশ্ববর্তী রাজ্য অসমেও বিজেপি দল সরকার চালাচ্ছে।কিন্তু সেখানে তো একশো শতাংশ মোটর ভেহিকেলের আইন লাগু করা হয়নি।তাহলে রাজ্যে প্রবেশের ক্ষেত্রে তা কেন? প্রশ্ন সকল চালকদের মনে।

চালকদের বক্তব্য, পরিবহন দপ্তর শুধু হাই লোড, ব্যাক লোড,ওভারলোড ও গাড়ির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বকেয়ার উপর জরিমানা করতে পারে। চালকরা লরি নিয়ে অনায়াসেই রাজ্যে প্রবেশ করার কথা। কিন্তু তা আর হচ্ছে কোথায়। তাই এই সমস্যার সুষ্ঠ সমাধানের দাবি তুলেছেন লরিচালকরা।অন্যতায় যাত্রী ও পণ্যবাহী লরি চালকরা অনির্দিষ্টকালের জন্য চাক্কা জ্যাম করতে বাধ্য হবেন। এখন দেখার বিষয় চুরাইবাড়ি গেইটের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কতটুকু মানবিক দৃষ্টি পড়ে।নাকি আইনের বেড়াজালে সাধারণ লরি চালকরা তাদের পেশা থেকে হারিয়ে যায়। চুরাইবাড়ি চেকপোষ্টে হয়রানি বন্ধ করার দাবিতে শনিবার প্রতিবাদ বিক্ষোভে শামিল হয় অন্যান্য যানবাহনে চালকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *