BRAKING NEWS

উইকেন্ড কারফিউ অমান্য করার অভিযোগ

Curfew FILE Photo

আগরতলা, ১৭ জুলাই : একাংশের সচেতন মানুষের মধ্যে করোণা নিয়ে কোনো ভয়-ভীতি বা ভ্রুক্ষেপ নেই। উইকেন্ড কারফিউ অমান্য করে বিভিন্ন স্থানে বেপরোয়াভাবে মানুষ চলাচল করছে। এমনকি দোকানপাট খোলা হচ্ছে, কিছু কিছু যানবাহনও চলাচল করছে। এ-ক্ষেত্রে পুলিশও কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে । করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই তৃতীয় ঢেউ আসছে পড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা অবলম্বন করতে নির্দেশ দিয়েছে। আমাদের রাজ্য ত্রিপুরাও করোনা মুক্ত নয়। বরং করোনার বাড়বাড়ন্তের কারণে অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বিশেষজ্ঞ দল রাজ্য সরকারের কাছে।

রাজ্যে করোনা ঠেকাতে ও মৃত্যুর লাইন যাতে দীর্ঘ না হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। সে অনুযায়ী রাজ্য সরকার কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করার পথেই হাঁটছে। করোনার তৃতীয় ঠেকাতে শনিবার ভোর পাঁচটা থেকে সোমবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত সারা রাজ্যে উইকেন্ড কারফিউ জারি করা হয়েছে। এই সময়কালের মধ্যে রাজ্যের জনগণকে বাড়ি ঘর থেকে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিধি-নিষেধ প্রত্যেককে যথাযথভাবে মেনে চলতে বলা হয়।

অথচ লক্ষনীয় বিষয় হলো একাংশের মানুষ উইকেন্ড কারফিউ অমান্য করে অবাধে চলাফেরা করতে শুরু করেছে। কোথাও কোথাও দোকানপাট খোলা হয়েছে। আইন-কানুনের তোয়াক্কা না করে ছোটখাটো যানবাহন অটো ইত্যাদিও রাস্তায় নেমে গেছে। এ ধরনের কার্যকলাপ খুবই উদ্বেগজনক। এ ধরনের মানুষের খামখেয়ালিপনা ও অসচেতনতার কারণে সর্বস্তরের জনগণকে ভয়ংকর পরিণতির দিকে ধাবিত হতে হচ্ছে। রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ন শ্রীনগর থানার অন্তর্গত আনন্দ নগর বাজার, মলয় নগর, ইচা বাজার সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় এ ধরনের চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। উইকেন্ড কারফিউ মানছেন না তারা।

এদিকে আনন্দ নগর বাজার কমিটির সেক্রেটারি পরিতোষ ঘোষ প্রশাসনকে পাত্তা না দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসা। তার পাশাপাশি ডুকলি ইচাবাজার রেল ক্রসিং এর পাশে কোভিড বিধি না মানার চিত্র পরিলক্ষিত হয়েছে। এনিয়ে সচেতন নাগরিকরা প্রশ্ন তুলছেন প্রশাসন কেন বিধি অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না। এ বিষয়ে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে করোনার তৃতীয় হয়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *