BRAKING NEWS

Cannabis recovered : ১৪ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার চড়িলাম পরিমল চৌমুনি এলাকায়

নিজস্ব প্রতিনিধি, চড়িলাম , ১৩ জুলাই।। বিশালগড় থানা মঙ্গলবার চড়িলাম পরিমল চৌমুনি এলাকার ছোটন মজুমদারের বাড়িতে গোপন খবরের ভিত্তিতে তল্লাশি চালিয়ে ১৪ কেজি শুকনো গাঁজা উদ্ধার করে। উদ্ধারকালে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি মঙ্গলবারে। অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছেন বিশালগড় মহকুমা পুলিশ আধিকারিক তাপস কান্তি পাল, সহ বিশাল পুলিশ এবং টিএস আর বাহিনী।উল্লেখ্য, গতদিন মখ্যমন্ত্রীর নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার যে একটা “দিবাস্বপ্ন” তা নেশা কারবারিদের অবাধ আস্ফালনে বার বার প্রমাণিত হচ্ছে এ রাজ্যে। আর তার লাগাম টানতে একাধিকবার রাজ্যের বিভিন্ন থানায় অভিযোগ দায়ের করা সত্ত্বেও মিলছে না কোন সুফল।

শেষমেষ কোন উপায় না পেয়ে প্রমিলা বাহিনী চড়িলাম জাতীয় সড়ক অবরোধ করে। সাব্রুম আগরতলা জাতীয় সড়ক। ঘটনা বিশালগড় থানাধীন পরিমল চৌমুহনী এলাকায়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন সিপাহীজলা জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি। পরে জেলাশাসকের আশ্বাস পেয়ে অবরোধমুক্ত হয় জাতীয় সড়ক।জানা যায় বিশালগড় থানাধীন পরিমল চৌমুহনী এলাকায় এক দোকানে অহরহ বিক্রি করা হচ্ছে ফেন্সি ডিল, এসকফ, ইয়াবা ট্যাবেট, এসপি টেবলেট সহ নানান নেশা সামগ্রি।

আর এই নেশাকারবারির অবাধ নেশা সামগ্রীর রমরমা ব্যবসায় গোটা গ্রামের যুব সমাজ ধ্বংসের মুখে পতিত হচ্ছে। তা দেখে বারকয়েক বিশালগড় থানায় অভিযোগও জানায় এলাকার শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন লোকজন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য কারণে এই নেশা কারবারির বিরুদ্ধে কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি অকর্মণ্য বিশালগড় থানার পুলিশ। অবশেষে আর কোন রাস্তা না পেয়ে আগরতলা সাব্রুম জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বসে এলাকার প্রমিলা বাহিনী।ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় সিপাহীজলা জেলাশাসক বিশ্বশ্রী বি।

তিনি কথা বলেন সড়ক অবরোধকারীদের সঙ্গে। জেলাশাসককে কাছে পেয়ে পুলিশ এবং নেশা কারবারিদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তারা।পরে জেলাশাসকের আশ্বাস পেয়ে সড়ক অবরোধ মুক্ত করে এলাকাবাসী। উল্লেখ্য জাতীয় সড়কের পাশেই অবস্থিত এক দোকানে দিন দুপুরে দেদার চালানো হচ্ছে নেশার রমরমা কারবার। আর এতে নেশার করাল গ্রাসের শিকার হচ্ছে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া থেকে নানান বয়সের যুবরা। ঠিক এই অভিযোগটাই করেছেন এলাকাবাসীরা। এই ধরনের নেশার বাণিজ্য কখনো সমাজের ক্ষতি ছাড়া উন্নয়ন সাধন করতে পারেনা। আর যারা এই নেশা বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত তারা অবশ্যই সমাজদ্রোহী। এখন দেখার এই সমাজদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিশালগড় থানার পুলিশ কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে? প্রশ্ন সমাজ সচেতন মহলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *