নাগপুর, ১১ জুলাই (হি. স.) : এলএনজি এবং সিএনজি দূষণ মুক্ত এবং সাশ্রয়ী হওয়ায় পেট্রোল-ডিজেলের বিকল্প হিসেবে পরিবহন ক্ষেত্রে জ্বালানি হিসেবে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। সেই সঙ্গে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বৈদ্যনাথ গোষ্ঠির উদ্যোগে নাগপুরের বিহিরগাঁও-এ দেশের প্রথম বিএলএনজি জ্বালানি পাম্পের উদ্বোধন করে দৃঢ়তার সঙ্গে এ-কথা বলেন কেন্দ্রীয় মহাসড়ক ও পরিবহন মন্ত্রী নীতিন গডকরি।
তাঁর কথায়, সিএএনজি-এলএনজি ভবিষ্যতে দেশের প্রধান জ্বালানি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। অনেক দেশে এলএনজি-র সাহায্যে ট্রাক, বাস, গাড়ি সফলতার চালাতে সক্ষম হয়েছে। এজন্য আমাদের অপরিশোধিত তেলের রফতানিতে লাগাম টানতে বিকল্প জ্বালানি হিসেবে এলএনজি ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, পেট্রোল এবং ডিজেলের আমদানি দেশের জন্য বিরাট চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন শহর পেট্রোল এবং ডিজেলের জন্য অধিক মাত্রায় দূষণের শিকার হচ্ছে। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার ইথেনাল, মিথেনাল, সিএনজি, এলএনজি-কে স্বদেশী এবং পকেট বায়োফুয়েল হিসেবে দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবহারের জন্য অধিক উত্সাহ দিচ্ছে।
তাঁর মতে, দেশে মোলিসিস, আখের রস, মক্কা, চাল অত্যাধিক উত্পাদন হচ্ছে। তাতে ইথেনাল তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। জৈব জ্বালানির অর্থব্যবস্থা বাড়ানোর জন্য কৃষি ক্ষেত্রকে জৈব জ্বালানিতে পরিবর্তনের আবশ্যিকতা রয়েছে। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত পেট্রোলে ১০ শতাংশ ইথেনাল মেশানো হচ্ছিল। এখন কেন্দ্রীয় সরকার ২২ শতাংশ ইথেনাল মেশানোর অনুমতি দিয়েছে। আমেরিকা, কানাডা, ব্রাজিলে প্লেক্স ইঞ্জিনের গাড়ি রয়েছে। সেই ইঞ্জিন ১০০ শতাংশ পেট্রোল কিংবা ১০০ শতাংশ ইথেনাল দ্বারা চালিত হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্বীকার করেন, পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষের নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। ফলস্বরূপ, জনগণ আন্দোলনও করছেন।
প্রসঙ্গত, জৈব জ্বালানির ব্যবহারে পরিবহন ক্ষেত্রের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় বিপ্লব আসবে। গডকরি বলেন, বর্তমান সময়ে ৫ টন স্টেম থেকে ১ টন সিএনজি উত্পাদন হচ্ছে। আমি নিজের ট্রাক্টরগুলিকে বায়ো সিএনজি-তে পরিবর্তিত করেছি। তাঁর মতে, এধরনের এলএনজি পাম্প থেকে বৈদ্যনাথ গোষ্ঠির কোটি টাকা আয় বৃদ্ধি হবে। তিনি বলেন, দেশে হাইড্রজেন জ্বালানি বিক্রির উপর কাজ চলছে। ব্রিটেন এবং চিনে বড় সংখ্যায় গাড়ি ইথেনাল এবং এলএনজি-তে চালিত হচ্ছে। গডকরি বলেন, ট্রাক চালকদের ডিজেল ইঞ্জিনগুলি এলএনজি এবং সিএনজি-তে পরিবর্তিত করে নেওয়া উচিত। শুধু তাই নয়, ঠিকেদারদের জেসিবি এবং নির্মাণে কাজে ব্যবহৃত সামগ্রী সিএনজি-তে চালানোর উপযোগী করা উচিত, তিনি এ-বিষয়ে আবেদন রাখেন।