আগরতলা, ৯ জুলাই (হি. স.) : এনিমিয়া সহজ ভাষায় আমরা বুঝি রক্তাল্পতা। ত্রিপুরায় সেই রক্তাল্পতায় ভুগছেন এমন ১৭৯৯ জন রোগী রয়েছেন। যা মোট পরীক্ষিত জনসংখ্যার ৪০.৬ শতাংশ। তাঁরা ৭ দিনে চিহ্নিত হয়েছেন। গোটা ত্রিপুরায় ঊনকোটি জেলায় সবচেয়ে বেশি রক্তাল্পতায় আক্রান্ত রোগী রয়েছেন। নিঃসন্দেহে বিষয়টি খুবই উদ্বেগের বলেই মনে করা হচ্ছে।
ত্রিপুরা সরকার এনিমিয়া মুক্ত রাজ্য গঠনে উদ্যোগ নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে সারা রাজ্যেই জাতীয় স্বাস্থ্য মিশন এবং ত্রিপুরা সরকারের স্বাস্থ্য দফতর এ-বিষয়ে বৈঠক করছেন। ৮ জুলাই পর্যন্ত প্রাপ্ত রিপোর্টে দেখা গেছে, ত্রিপুরায় ৪৪২৯ জনের পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৭৯৯ জনের রক্তাল্পতা রোগ শনাক্ত হয়েছে।
মূলত দুইটি পদ্ধতিতে ওই পরীক্ষা করা হচ্ছে ত্রিপুরায়। সাহিলস পদ্ধতিতে ২৯০৫ জনের এবং ডিজিটাল এইচবি মিটার দিয়ে ২০০৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে, সামান্য আক্রান্ত ১০৩৪ জন, মাঝারি আক্রান্ত ৭১০ জন এবং মারাত্মকভাবে আক্রান্ত ৫৫ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিস্তারিত রিপোর্টে ঘেঁটে দেখা গেছে, পশ্চিম জেলায় ২২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৭৬৮ জনের শতাংশের হারে ৩৪.৯, ধলাই জেলায় ৭১ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৩৮ জনের শতাংশের হারে ৫৩.৫, দক্ষিণ জেলায় ৯০৯ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৪৪৯ জন শতাংশের হারে ৫৯.৪, ঊনকোটি জেলায় ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় ৫৩ জনের শতাংশের হারে ৭০.৭, উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ২৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১৪০ জনের শতাংশের হারে ৪৭, খোয়াই জেলায় ১২৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের শতাংশের হারে ২১.৪, সিপাহীজলা জেলায় ৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২২১ জনের শতাংশের হারে ৩৭.৭ এবং গোমতী জেলায় ১৬৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৩ জনের শতাংশের হারে ৬২.৮ রক্তাল্পতায় আক্রান্ত রয়েছেন।