BRAKING NEWS

Twitter : নয়া আইটি বিধি মানতে ৮ সপ্তাহ লাগবে, দিল্লি হাই কোর্টকে জানাল টুইটার

নয়াদিল্লি, ৮ জুলাই (হি. স.) : ভারতীয় কাউকে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করতে আরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে। নয়া আইটি বিধি মেনে চলার প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার দিল্লি হাই কোর্টকে একথা জানাল টুইটার। আদালতে জমা দেওয়া হলফনামায় টুইটার জানিয়েছে যে তারা ভারতে একটি জনসংযোগ অফিস চালু করার বিষয়েও কাজ করছে।


বৃহস্পতিবার এক হলফনামায় দিল্লি হাই কোর্টকে টুইটার বলেছে, ‘ভারতীয় কাউকে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করতে আরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে। ভারতে একটি জনসংযোগ অফিস তৈরির বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীনও রয়েছে। এই অফিসে নতুন আইটি বিধি মোতাবেক সকল অভিযোগ জানানো যাবে।’ প্রসঙ্গত, নতুন আইটি বিধি মেনে তারা কবে ভারতের বাসিন্দা অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করবে, তা ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জানানোর জন্য মঙ্গলবার টুইটারকে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রেখা পল্লি। তিনি শুনানিতে বলেছিলেন, টুইটার আদালতকে জানায়নি যে তারা একজনকে কেবলমাত্র অন্তর্বর্তীকালীন ভিত্তিতে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক হিসেবে নিয়াগ করেছিল। সেই ব্যক্তি ইতিমধ্যেই পদত্যাগ করেছেন। টুইটারের আইনজীবীকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয়। আপনারা আদালতকে এটা বলেননি যে আসলে একজন অন্তর্বর্তীকালীন আধিকারিককে নিয়োগ করেছিলেন। আপনারা যদি ভেবে থাকেন যে আমাদের দেশে যতদিন খুশি সময় নেবেন, তাহলে সেটা আমি হতে দেব না। আপনাদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত ছিল।’’  


ধমক খাওয়ার পর দিল্লি হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে ভারতীয় কাউকে অভিযোগ গ্রহণকারী আধিকারিক নিয়োগ করতে আরও আট সপ্তাহ সময় লাগবে বলে জানায় টুইটার ।

ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজির মন্ত্রীত্বের দায়িত্ব নিয়েই টুইটারকে সতর্ক করলেন নতুন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। বিজেপির সদর কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘ভারতের যে কোনও নাগরিক এবং যাঁরা ভারতে বাস করছেন তাঁদের দেশের আইন মানতেই হবে।  আইন মেনেই কাজ করতে হবে টুইটারকে।’ তবে টুইটার ইতিমধ্যেই জানিয়েছে নয়া গাইডলাইন সংক্রান্ত বিবাদ নিস্পত্তির জন্য একজন আধিকারিক নিয়োগ করা হবে।


প্রসঙ্গত ২৫শে মে থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সংক্রান্ত নয়া গাইডলাইন কার্যকরী হয়েছে। এই নয়া গাইডলাইনে বলা হয়েছে দেশে বাস করেন এমন একজন বিবাদ নিস্পত্তি ও নোডাল অফিসার রাখতে হবে। এদিকে মন্ত্রকের দাবি, টুইটার কমপ্লায়েন্স অফিসার, গ্রিভ্যান্স অফিসার রাখতে পারেনি। এব্যাপারে প্রাক্তন মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদের আমলে রীতিমতো সতর্ক করা হয়েছিল টুইটারকে। এবার নতুন মন্ত্রীর হাতে দফতর যাওয়ার পর সেই দ্বন্দ্বের পরিণতি কী হয় সেদিকেই তাকিয়ে বিভিন্ন মহল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *