কলকাতা,২০ মে ( হি. স.): দেশ কিংবা রাজ্য সর্বত্রই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নিয়ে এক ভার্চুয়াল বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ তুললেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীদের ডেকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি’ ।
এদিন দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে ১০ রাজ্যের মোট ৫৪ জন জেলাশাসকের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী। সেই বৈঠকের তালিকায় ছিলেন বাংলার ৯ জেলার জেলাশাসক, মুখ্যমন্ত্রী, মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব। সেই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। বৈঠক শেষে ক্ষুব্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, ‘খুব খারাপ লেগেছে, কথাই বলতে দেননি। সৌজন্য বিনিময়ও করেননি। তাহলে কেন মুখ্যমন্ত্রীদের ডাকলেন। ডেকে অপমান করলেন। আজ ভেবেছিলাম ভ্যাকসিন চাইব। কিন্তু বলারই সুযোগ পাইনি, কিছু জানতে চাননি। রাজ্যে কীভাবে করোনা মোকাবিলা হচ্ছে। ওষুধের কী খবর কিছুই জানতে চাইলেন না। অপমানিত বোধ করেছি আমরা মুখ্যমন্ত্রীরা। পুতুলের মতো বসেছিলাম। আমি চাই সব মুখ্যমন্ত্রীরা আমার মত প্রতিবাদ করুক। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো না মেনে কাজ করছে কেন্দ্র। প্রধানমন্ত্রী কেন এত ইনসিকিওর্ড? মুখ্যমন্ত্রীদের কথা কেন শোনেন না। আবার না বলেন, ঘণ্টা বাজালেই করোনা কমবে। আমরা ক্রীতদাস নই। বৈঠকে ওয়ান ওয়ে ইনসাল্টেশন,হিউমিলিয়েশন হয়েছে। তিন কোটি ভ্যাকসিন দিতে বলেছিলাম কমিয়ে দিচ্ছে। কেন্দ্র অক্সিজেন দিচ্ছে না, রেমডিসিভির কেন বাজারে নেই?সব কেন্দ্রের হাতে, কোনও রাজ্যকে পয়সা দিচ্ছে না। ৩০ হাজার কোটি টাকা দিলেই, সবাই পেত নিখরচায় ভ্যাকসিন । ১৮ বছরের ছেলেমেয়েরা মরছে, উনি বিল্ডিং বানাচ্ছেন’ ।