কলকাতা, ১৬ এপ্রিল (হি. স.) : রাত পোহালেই শুরু হতে চলেছে পঞ্চম দফার নির্বাচন। রক্তস্নাত চতুর্থ দফা থেকে শিক্ষা নিয়ে কমিশন চাইছে সমন্বয় বজায় রেখে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করুক।
মোট ৬ জেলার ৪৫টি আসনে এই পঞ্চম দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মোট ১৫ হাজার ৭৮৩টি বুথে ভোটগ্রহণ চলবে। ইতিমধ্যেই স্পর্শকাতর বুথগুলিকে চিহ্নিত করা, আধাসেনা (সিআরপিএফ) মোতায়েন. কুইক রেসপন্স টিমের টহল শুরু হয়েছে এই অঞ্চলগুলিতে।
পঞ্চম দফায় ৪৫ বিধানসভা কেন্দ্রের নির্বাচনে ১০৭১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ছয় জেলায় পঞ্চম দফার নির্বাচন, বুথ পাহারায় মোতায়েন থাকবে ৮৫৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ।এবং ১৫ হাজার ৭৯০ জন রাজ্য পুলিশ বাহিনী । বাকি ১১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ছয় জেলার অন্যান্য দায়িত্বে নিযুক্ত থাকবে।
পঞ্চম দফায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিন্যাস এরকম— বারাসাত পুলিশ জেলায় ৬৯ কোম্পানি, ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটে ৬১ কোম্পানি, বসিরহাট পুলিশ জেলায় ১০৭ কোম্পানি, বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট ৪৬ কোম্পানি, দার্জিলিং জেলা ৬৮ কোম্পানি, জলপাইগুড়ি জেলা ১২২ কোম্পানি, কালিম্পং জেলা ২১ কোম্পানি, কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলা ১১ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমান জেলা ১৫৫ কোম্পানি, রানাঘাট পুলিশ জেলা ১৪০ কোম্পানি, শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেট ৫৩ কোম্পানি। তথ্য বলছে পূর্ব বর্ধমান জেলায় সবচেয়ে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে পঞ্চম দফার নির্বাচনের পূর্বে।
গত চার দফায় ভোটের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়েছে কমিশন। বিশেষ করে শীতলকুচিতে ৪ মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা থেকেই কমিশনের শীর্ষকর্তারা অনুভব করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সমন্বয়ের জন্য আরও পর্যবেক্ষক প্রয়োজন। অতি সম্প্রতি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রধানদের সঙ্গে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে কমিশন নিযুক্ত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবে সিআরপি-কে আগামী পর্যায়ের ভোটে আরও সতর্কতা অবলম্বন করার বিষয়ে নির্দেশ দেন দুই পর্যবেক্ষক। সূত্রের খবর বৈঠকে শীতলকুচির প্রসঙ্গ তুলে আসন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিস্থিতি মাথায় রেখে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় রেখেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। পাশাপাশি জানিয়ে দেন আত্মরক্ষায় গুলি চালানোর পরিস্থিতি হলেও সেক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউরস।
উল্লেখ্য গতকালই এই সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে ১১ জন নতুন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করা হয়েছে। করোনা পরীক্ষার পর তড়িঘড়ি তাদের বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হচ্ছে। আগে রাজ্যে পুলিশ পর্যবেক্ষকের সংখ্যা ছিল ৫৫। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৬, যা অন্য যে চার রাজ্যে ভোট হয়েছে এই পর্বে তার চেয়ে অনেকটাই বেশি।