নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা/ উদয়পুর, ১৩ এপ্রিল৷৷ রাজধানী আগরতলা শহর সংলগ্ণ খয়ের পুরের দুলুরা এলাকা থেকে এক টমটম চালকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে৷ মৃতের নাম সুকান্ত আচার্য৷দুলুরা এলাকায় মঙ্গলবার সকালে এক টমটম চালকের মৃতদেহ উদ্ধার এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়৷ জানা যায় রাস্তার পাশে একটি জঙ্গল পুরনো জায়গা থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার হয়েছে৷ সেখানেই টমটম পাওয়া গেছে৷ এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে আশঙ্কা করা হচ্ছে৷ পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে গতকাল রাতে টমটম চালক সুকান্ত আচার্য বাড়িতে ফেরেনি৷ তার বাড়ি মেগলী পাড়া এলাকায়৷
মঙ্গলবার সকালে পরিবারের লোকজন খবর পান এলাকায় তার মৃতদেহ পড়ে রয়েছে৷ খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়৷ মৃতের পরিবারের লোকজনরাও ঘটনাস্থলে যান৷ সেখান থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জিবি হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ মৃতের বাবা বাবুল আচার্য জানিয়েছেন গতকাল রাতে বাড়িতে না এসে এসে কেন সে দুলুরার দিকে গিয়েছিল তা নিয়েই সন্দেহ দেখা দিয়েছে৷ ভাবনা আচার্য আরো জানান এক যুবকের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়েছিল৷ তার নাম নয়ন বর্ধন৷ সে একজন ঔষধ ব্যবসায়ী৷ বিষয়টি পরিবারের তরফ থেকে পুলিশকে জানানো হয়েছে৷ পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে৷ তবে এখনো পর্যন্ত এ ঘটনায় জড়িত কাউকে গ্রেপ্তারের সংবাদ নেই৷ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷
এদিকে, আজ সন্ধ্যা আনুমানিক পাঁচটার সময় উদয়পুর রাধাকিশোরপুর থানার অন্তর্গত মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের সি পি এম পার্টি অফিসের বারান্দার সামনে এক মানুসিক ভারসাম্যহীন মহিলার মৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে ৷ এলাকাবাসি প্রথমে মহিলার এই অস্বাভাবিক অবস্থা দেখে গ্রামের প্রধান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে খবর দিলে, নেতৃবৃন্দরা আর কে পুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ঘটনা স্থল থেকে অপরিচিত মহিলার মৃত দেহ উদয়পুর টেপানিয়া স্থিত গোমতি জেলা হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়৷
উল্লেখ থাকে যে এই অপরিচিত মহিলা লক ডাউনের আগে থেকেই মাতাবাড়ি এলাকায় ভবঘুরের মতো এদিক সেদিক ঘুরে বেড়াতো৷ ধারনা করা হচ্ছে হয়তোবা কয়েকদিন ধরে না খেয়ে অথবা রোগের জন্যই মারা যেতে পারে৷ পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা গ্রহণ করে তদন্ত শুরু করেছে৷উদয়পুর মহিলা থানার পুলিশ ও রাধাকিশোরপুর থানার পুলিশ যৌথ ভাবে তদন্ত শুরু করেছেন৷ ভবঘুরে এই মহিলার মৃত্যুতে মাতাবাড়ি সহ উদয়পুর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে৷