লন্ডন, ৩০ জানুয়ারি (হি. স.) : দুই ডোজ নয়, এক ডোজের ভ্যাকসিন নিয়েই প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হওয়া যাবে। বিশ্বজুড়ে ট্রায়াল চালানোর পরে এমনই দাবি করেছে বিখ্যাত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। শুধু তাই নয়, ফাইজার, মডার্না কিংবা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিনের চেয়ে সংস্থার তৈরি ভ্যাকসিন দামে যেমন সস্তা তেমনই পরিবহনও অনেক সহজ । ভ্যাকসিন সংরক্ষণের জন্য কোল্ডচেইন বা অতিশীতল তাপমাত্রার প্রয়োজন পড়বে না। সাধারণ ফ্রিজেই মাসের পর মাস সংরক্ষণ করা যাবে ভ্যাকসিন।
যদিও মডার্না কিংবা ফাইজারের ভ্যাকসিনের তুলনায় জনসন অ্যান্ড জনসনের উদ্ভাবিত করোনা ভ্যাকসিন অনেকটাই কম কার্যকরী। শুক্রবার সে কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন সংস্থার করোনা ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজে জড়িত থাকা দলের প্রধান পল স্টফেলস। তিনি জানিয়েছেন, বিশ্বজুড়ে চালানো তৃতীয় দফার ট্রায়ালে তাদের করোনা ভ্যাকসিন ৬৬ শতাংশ কার্যকরী হিসেবে প্রমাণিত হয়েছে। তবে তাতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার যে নতুন ধরন শনাক্ত হয়েছে, তার বিরুদ্ধেও যথেষ্ট কার্যকরী এক ডোজের ভ্যাকসিন।
প্রখ্যাত মার্কিন ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘বিশ্বের আটটি দেশে ৪৪ হাজারেরও বেশি মানুষের ওপর তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানো হয়েছিল। তার মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ট্রায়ালে ভ্যাকসিন ৭২ শতাংশ কার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। লাতিন আমেরিকায় ৬৬ শতাংশ এবং দক্ষিণ আফ্রিকায় ৫৭ শতাংশ কার্যকারিতা দেখা গিয়েছে। ভ্যাকসিন প্রয়োগের ৪৯ দিন পর কারও শরীরে গুরুতর কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে যারা মারা গিয়েছেন, তারা সাধারণ প্ল্যাসেবো গ্রুপে ছিলেন। অর্থাৎ তাদের মৃত্যুর কারণ ভ্যাকসিন নয়।’ জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের জন্য আগামী সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) কাছে আবেদন করা হবে বলে সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। ফাইজার কিংবা মডার্নার চেয়ে কম কার্যকরী হলেও জনসনের ভ্যাকসিন নিয়ে আশাবাদী মার্কিন মুলুকের প্রধান সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফউসি।