নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৭ জানুয়ারি৷৷ খয়াই থানার পুলিশ রামচন্দ্র খাটের ইন্দিরা কলোনি থেকে দুই নেশা কারবারীকে আটক করেছে৷ জানা যায় ইন্দিরা কলোনি এলাকার বাসিন্দারা ২ সন্দেহ ভাজন যুবককে আটক করেন৷
আটক করে তাদেরকে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়৷ তাদের কাছ থেকে কিছু নেশা জাতীয় সামগ্রী উদ্ধার হয়৷ উত্তেজিত জনতার গণধোলাইয়ে তারা দুজন আহত হয়৷ তারপর এলাকাবাসীর তরফ থেকে খবর পাঠানো হয় থানার পুলিশকে৷ খবর পেয়ে খোয়াই থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে এসে আহত যুবকদের থানায় নিয়ে যায়৷ তাদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা গ্রহণ করেছে পুলিশ৷ এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ইন্দিরা কলোনীসহ আশপাশের এলাকাগুলিতে ওই দুই যুবক নেশা সামগ্রী বিক্রি করে আসছে৷ তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এলাকাবাসী দাবী জানিয়েছেন৷
মনপাথর ফাঁড়ী থানার পুলিশের খামখেয়ালীপনায় হাতের নাগাল থেকে পালিয়ে গেলো নেশাকারবারীরা৷ ঘটনার বিবরনে জানা যায় শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত কুপিলং নোয়াতিয়া আজ বিকাল চারটায় এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে এক নেশাকারবারীকে আটক করে৷ পরবর্তী সময় এলাকাবাসী বিষয়টি মনপাথর ফাঁড়ী থানায় জানান৷ কিন্তু মনপাথর ফাঁড়ী থানার কর্তব্যরত আরক্ষা দপ্তরের কর্মীরা এই বিষয়ে কোনোপ্রকার কর্নপাত করেনি৷ অভিযোগের তীর আরক্ষা দপ্তরের কর্মীদের দিকে৷ আরক্ষা দপ্তরের কিছু সংখ্যক কর্মীদের সাথে নেশাকার বারীদের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ৷ মনপাথর ফাঁড়ী থানার ওসি দীপু দের্বমা, শান্তিরবাজার থানার ওসি কমলেন্দু ধর ও শান্তির বাজার থানার গাড়ীচালক শিবু দেবনাথ শান্তিরবাজার মহকুমার বিভিন্নপ্রান্ত থেকে নেশাকারবারীদের থেকে মাসিক চাঁদা সংগ্রহ করে নেশাকারবারীদের প্রশ্রয় দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ৷ যার ফলে শান্তিরবাজার মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে নেশাকারবারীরা প্রতিনিয়ত রমরমা নেশার বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে৷
অপরদিকে কিছুসংখ্যক যুবক নেশাগ্রস্থ হয়ে দিন দুপুরে চুরির কাজে যুক্ত হচ্ছে৷ যার একটি চিত্র লক্ষ্য করা গেল আজ৷ এলাকাবাসী স্বতস্ফূর্তভাবে নেশাকারবারীদের আটক করে থানায় খবব দিলেও পুলিশ কর্তবাবুরা কর্নপাত করেননি৷ যার ফলে নেশাকারবারীরা এলাকাবাসীর হাতথেকে পালিয়ে যায়৷ নেশাকারবারীরা পালিয়ে গেলেও তাদের সঙ্গে থাকা টি আর ০৮ সি ৫২৮৪ নাম্বারের বাইক ঘটনাস্থলে রেখে পালিয়ে যায়৷ অবশেষে রাত্রিবেলায় মনপাথর ফাঁড়ী থানার এস আই দীপু দেবর্বমা হেলেদুলে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বাইকটি থানায় নিয়ে যায়৷ আজকে নেশাকারবারীদের হাতের কাছে পেয়ে পালিয়ে যেতে সাহায্যের হাত বাড়ীয়ে দেওয়ায় এলাকাবাসীদের মধ্যে ছিঃ ছিঃ রব উঠেছে পুলিশের ভূমিকায়৷