হাফলং (অসম), ২৫ জানুয়ারি (হি.স.) : ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (ডিএনএলএ) আহূত ৩৬ ঘণ্টার ডিমারাজি বনধ-এ ডিমা হাসাও জেলার জনজীবন সোমবারও সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বনধ-এর জেরে আজ ডিমা হাসাও জেলার সদর শহর হাফলং সহ মহকুমা সদর মাইবাং, মাহুর, হারাঙ্গাজাও, উমরাংসো, লাংটিং, হাতিখালি, দিয়ুংমুখ প্রভৃতি এলাকার জনজীবন ছিল সম্পূর্ণ স্তব্ধ।
এদিকে বনধ-এ হাফলং শহরের বাজারহাট, দোকানপাট, সরকারি বেসরকারি কার্যালয়, আদালত, ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, স্কুল কলেজ সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সবই ছিল বন্ধ। তবে পাহাড় লাইনে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও কোনও যানবাহন, এমন-কি দূরপাল্লার কোনও গাড়িঘোড়া রাস্তায় আজও বের হয়নি। তাছাড়া বনধকে কেন্দ্র করে জেলার কোনও জায়গা থেকে কোনও ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনার খবর মেলেনি, বনধ ছিল সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ২৫ জানুয়ারি ডিমা হাসাও জেলার জমি বৃহত্তর নাগালিমে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার খবর প্রচারিত হওয়ার পর পাহাড়ি এই জেলার ডিমাসা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন দল সংগঠন এর প্রতিবাদে মাইবাং স্টেশনে রেল অবরোধ করেছিল। সেদিন রেল অবরোধকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ গুলি চালালে মিঠুন ডিব্রাগেডে ও প্রবান্ত হাকমকসা নামের দুই ডিমাসা যুবকের মৃত্যু হয়েছিল। তার পর থেকে ২৫ জানুয়ারি দিনটি শহিদ দিবস হিসেবে পালন করছে ডিমাসা জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন দল ও সংগঠন।
অন্যদিকে ডিমাসা ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি ২৫ জানুয়ারি দিনকে ব্ল্যাক ডে হিসেবে পালন করে আসছে। এদিকে সোমবার সন্ধ্যায় হাফলং নগর সমিতির মাঠে ডিমাসা স্টুডেন্টস ইউনিয়নের উদ্যোগে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় মোমবাতি জ্বালিয়ে মৃত মিঠুন ডিব্রাগেডে ও প্রবান্ত হাকমকসাকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে বিভিন্ন দল সংগঠন।