আগরতলা, ১৮ জানুয়ারি (হি.স.) : ককবরক ভাষা দিবস পালনে বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় উত্তেজিত হয়ে উঠেন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদ (এবিভিপি)-এর কর্মীরা। তাঁদের প্রচারসজ্জা নষ্ট করা হয়েছে, এই অভিযোগকে ঘিরে কংগ্রেস এবং এবিভিপি সমর্থকদের মধ্যে ঝামেলা শুরু হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। এতে এবিভিপি সমর্থকরা মার খেয়েছেন। এরই প্রতিবাদে অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন বিদ্যার্থী পরিষদের সমর্থকরা। তবে, সন্ধায় প্রত্যাহার নিয়েছে অবরোধ।
আজ সোমবার ত্রিপুরা বনধ-কে ঘিরে পুলিশ প্রশাসন কংগ্রেসের পিকেটারদের গ্রেফতার করে খোয়াই জেলায় তেলিয়ামুড়া টাউন হল তথা চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে নিয়ে আসে। সেখানেই আজ এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের উদ্যোগে ককবরক ভাষা দিবস উদযাপনের সূচি নির্ধারিত ছিল। এবিভিপি ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, তাদের প্রচারসজ্জা সেখানে নষ্ট করা হয়েছে। এক সময় দুই সংগঠনের দ্বারা এমন উত্তেজনার পরিবেশ তৈরি হয় যেখানে পুলিশ লাঠিচার্জ করতে বাধ্য হয়েছে। তাতে বিদ্যার্থী পরিষদের নেতৃত্ব সহ কিছু সংখ্যক সদস্য আহত হন।
এদিকে, তেলিয়ামুড়া চিত্রাঙ্গদা কলা কেন্দ্রে ককবরক দিবসের অনুষ্ঠান সূচির প্রচারসজ্জা নষ্ট করা এবং বিদ্যার্থী পরিষদের প্রদেশ সংগঠন মন্ত্রী ডিএস অভিরামের উপর পুলিশি আক্রমণের প্রতিবাদ জানিয়ে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের তেলিয়ামুড়া নগর ইউনিটের কর্মী সমর্থকরা অসম-আগরতলা জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন। এই অবরোধ বেলা প্রায় ১.০০টা থেকে শুরু হয়। সময় যত গড়িয়েছে কর্মী সমর্থকদের ভিড় তত বেড়েছে। পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে থাকলেও অনেকটা নিরব দর্শকের ভূমিকায় রয়েছে।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, জাতীয় সড়ককে অবরোধ মুক্ত করার উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন। ফলে জাতীয় সড়কের উভয় দিকে যাত্রীবাহী দূরপাল্লার গাড়ি থেকে শুরু করে পণ্যবাহী বহু লরি আটকে পড়েছে। এমন-কি এই অবরোধের ফলে ত্রিপুরার বনমন্ত্রী মেবারকুমার জমাতিয়াও আটকে পড়েছিলেন। পরে তাঁকে অন্য পথে আগরতলায় ফিরতে হয়েছে। তবে, সন্ধায় এবিভিপি প্রত্যাহার নিয়েছে অবরোধ।