নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৮ জানুয়ারি৷৷ অদ্বৈত মল্লবর্মণ অন্ত্যজ সম্পদায়ের মানুষের কাছে এক চির মরণীয় ব্যক্তিত্ব৷ তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে বাস্তব জীবনের ছবি৷ তাঁর লেখা, ভাষা ও সংস্কৃতিবোধ সমস্ত স্তরের মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে৷
আজ অদ্বৈত মল্লবর্মণের ১০৭তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষ্যে তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের উদ্যোগে মুক্তধারা মিলনায়তনে ’অদ্বৈত মল্লবর্মণ ও তাঁর সৃষ্টি’ বিষয়ক আলোচনাচক্র অনুষ্ঠিত হয়৷ এই অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করে কথাগুলি বলেন অধ্যক্ষ রেবতী মোহন দাস৷
তিনি বলেন, অদ্বৈত মল্লবর্মণ তাঁর লেখার মধ্যদিয়ে সমস্ত নিম্ন বর্ণের মানুষের মনেরকথা তুলে ধরেছেন৷ তাঁর রচিত ’তিতাস একটি নদীর নাম’ উপন্যাসটি নিম্নবর্ণের মানুষের জাগরণের এক পথনির্দেশ৷ তিনি বলেন, অদ্বৈতের লেখায় এমন অনেক গ্রামীণ বিষয় ও সংস্কৃতি আছে যা কালের পরিবর্তনে হারিয়ে গেছে৷ সেগুলিকে আমাদের ধরে রাখতে হবে৷ কারণ সেগুলি আমাদের প্রাচীন ইতিহাস, জীবনযাত্রা, সংস্ক’তির মূল শিকড় ও শ্রোতধারা৷ আমাদের জীবন যুদ্ধে লড়াই করে জীবনের প্রাপ্য অধিকারটুকু আদায় করে নিতে হবে৷ নিজেকে অদ্বৈত মল্লবর্মণের মতই সৃষ্টিশীল করতে হবে৷ তবেই তাঁর জন্মদিন উদযাপনের স্বার্থকতা৷
অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধানসভার প্রাক্তন অধ্যক্ষ জিতেন্দ্র সরকার বলেন, নিম্নবর্ণের মানুষরা আজও লাি’ত হচ্ছেন৷ সেইসব লাি’ত মানুষদের একত্রিত করে শিক্ষার অঙ্গণে নিয়ে আসার জন্য অদ্বৈত মল্লবর্মণের মত লেখা ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান৷ অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন বিধায়ক রি’ত দাস, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ডিরেক্টর ড. অলক ভ-াচার্য, অধ্যক্ষ ড. নির্মল দাস প্রমুখ৷ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণ দেন তপশিলী জাতি কল্যাণ দপ্তরের সচিব টি কে চাকমা, ধন্যবাদসূচক বক্তব্য রাখেন অধিকর্তা সন্তোষ চন্দ্র দাস৷ অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশন করেন তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের শিল্পীগণ৷ উল্লেখ্য, এবছর প্রথমবার মেলাঘরের কেমতলীর বাইরে রাজ্যের আরও ৪টি জেলায় অদ্বৈত মল্লবর্মণের ১০৭ তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন করা হয়েছে৷