নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৪ জানুয়ারি৷৷ সোমবার থেকে রাজ্যের সবকটি সুকলে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের পঠন-পাঠন শুরু হয়েছে৷ এর আগে পর্যায়ক্রমে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পঠন-পাঠন শুরু হয়৷সোমবার রাজধানী আগরতলা শহরের বিভিন্ন সুকল সহ অন্যান্য স্থানের সুকলগুলিতে ও পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের উপস্থিতি লক্ষণীয় ছিল৷
উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত পরিস্থিতির কারণে গত বছরের মার্চ মাস থেকে রাজের সুকলগুলিতে পঠন পাঠন বন্ধ রাখা হয়৷বর্তমানে পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হওয়ায় সরকারি নির্দেশ ক্রমেই পঠন-পাঠন পুনরায় শুরু করা হয়েছে৷পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত বিদ্যালয় স্তরে পঠন-পাঠন শুরু করা হলেও এ ক্ষেত্রে যাবতীয় সরকারি বিধি নিষেধ মেনে পঠন পাঠন করা হয়েছে৷
সোমবার রাজ্যের বিভিন্ন স্থান থেকে পাওয়া খবরে জানা গেছে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের উপস্থিতির হার অনেক সন্তোষজনক ছিল৷ প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে মাক্স পরিহিত অবস্থায় সুকলে আসতে হয়েছে৷যারা মাক্স নিয়ে আসেনি তাদেরকে সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে মাক্স সরবরাহ করা হয়৷ শিক্ষা দপ্তর সূত্রে জানা গেছে রোস্টার পদ্ধতিতে পঠন-পাঠন পরিচালনা করা হবে৷ পঠন পাঠন চালু করার ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে বলে শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন৷
দীর্ঘ নয় মাসের অধিক সময় পর ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয় আসার সুযোগ পাওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যাপক উদ্দীপনাও পরিলক্ষিত হয়েছে৷ উল্লেখ্য করোনা ভাইরাস সংক্রমণ জনিত কারণে সুকল গুলি বন্ধ রাখার ফলে ছাত্রছাত্রীরা মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে৷অনলাইন পদ্ধতিতে পঠন-পাঠনের ব্যবস্থা করা হলেও রাজ্যের সব ছাত্র-ছাত্রীরা সেই সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারেনি৷ ফলে একাংশের ছাত্র-ছাত্রী পঠন-পাঠনের যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ে এসেছে৷কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রীর নির্দেশ পাওয়ার পর পুনরায় রাজ্যের সুকলগুলিতে পঠন-পাঠন শুরু হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রী শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবক মহল অনেকটাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলন৷বিগত ৯ মাসের অধিক সময় পঠন-পাঠন বিদ্যালয়গুলিতে বন্ধ থাকায় ছাত্রছাত্রীরা যে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে সেই ক্ষতিপূরণ আদৌ সম্ভব হবে কিনা তা বলা মুশকিল৷ সোমবার থেকে পঞ্চম শ্রেণী থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু করা হলেও বেশ কিছু বিধিনিষেধ মেনে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ক্লাস নিতে হবে৷করোনা ভইরাস সম্পর্কিত সর্তকতা যথাযথভাবে পালন না করলে যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর পরিণতি দেখা দিতে পারে বলেও অনেকেই আশঙ্কা করছেন৷পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু করা হলেও প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন কবে নাগাদ শুরু হবে সে সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত কোনো তথ্য এখনো পর্যন্ত মিলেনি৷ যেটুকু জানা গেছে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পঠন-পাঠন পরিচালনা করতে গিয়ে কোন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন না হলে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পরবর্তী পর্যায়ে প্রথম থেকে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত পঠন-পাঠন শুরু করার বিষয়টি চূড়ান্ত করবে রাজ্য সরকার এবং শিক্ষা দপ্তর৷