নয়াদিল্লি, ২৮ নভেম্বর (হি. স.):কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ কৃষকদের দিল্লিতে প্রবেশের প্রচেষ্টা অব্যাহত। শনিবার হরিয়ানা-দিল্লি সিন্ধু সীমান্তে পরিস্থিতি এখনও উত্তেজনায় ভরা। পুলিশের বাধা পেয়ে কৃষকরা জাতীয় সড়কের মধ্যেই আস্তানা বেঁধে বসবাস করতে শুরু করেছে। জাতীয় সড়কের মধ্যে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত যান চলাচল ব্যাহত হয়েছে। সিন্ধু ছাড়াও বাহাদূরগড় সীমান্তে পুলিশ ও কৃষকদের মধ্যে পরিস্থিতি উত্তেজনায় ভরা। কৃষকদের ক্রমাগত বিক্ষোভের জেরে হরিয়ানার সঙ্গে দিল্লির সড়কপথে যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে।
শুক্রবার রাত থেকে সিন্ধু সীমান্তে উত্তেজনা ছিল।পুলিশদের তরফে কৃষকদেরকে ফিরে যেতে বলা হয়। কিন্তু কৃষকরা জাতীয় সড়কের মধ্যেই অস্থায়ী ডেরা তৈরি করে অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়ে। হরিয়ানা ও দিল্লির মধ্যে সড়ক পথ অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে সবজি ভর্তি ট্রাকগুলো যেগুলো প্রত্যেকদিন হরিয়ানা থেকে দিল্লি আসে তা পুরোপুরি থমকে গিয়েছে। কৃষকরা যাতে জাতীয় সড়ক ছেড়ে দেয় তার জন্য প্রশাসনিক আমলারা কৃষক নেতাদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছে। জাতীয় সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে যাওয়ার জেরে নিত্যযাত্রীরা পায়ে হেঁটে নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর চেষ্টা করে চলেছে। কৃষকদের ওপর কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করার প্রতিবাদে নিন্দায় সরব হয়েছেন কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা।
বরিষ্ঠ এই কংগ্রেস নেতা একযোগে কেন্দ্র এবং হরিয়ানার সরকারের বিরুদ্ধে নিন্দায় সরব হন। অন্যদিকে হরিয়ানার উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌতালার ছোট ভাই দ্বিগবিজয় চৌতালা কেন্দ্রের কাছে আর্জি জানান কৃষকদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলার জন্য। তার মতে নতুন কৃষি আইন নিয়ে কৃষকদের মনের মধ্যে যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে তা দূর করা একান্ত প্রয়োজন। কেন্দ্রের উচিত কৃষকদের সঙ্গে মুখোমুখি বসে কথা বলা। রাজ্যসভার সাংসদ দীপেন্দ্র হ্নড্ডা জানিয়েছেন, কৃষকরা গণতান্ত্রিক উপায়ে প্রশাসনের দরজা পর্যন্ত পৌঁছেছে। সরকারের উচিত দ্রুততার সঙ্গে কৃষকদের কথা শুনে সমস্যার সমাধান করা।