নয়াদিল্লি, ২২ নভেম্বর (হি. স.): বিন্ধ্যাচল হোক বা বুন্দেলখন্ড। সম্পদে ভরপুর থাকা সত্ত্বেও অভাব জনিত সমস্যায় ভুগছে এই দুই অঞ্চল। এই অঞ্চল দিয়ে বয়ে চলা একাধিক নদী থাকা সত্বেও পানীয় জলের অভাব এবং খরা এখানকার নিত্যসঙ্গী। স্বাধীনতার পর কয়েক দশক ধরে যে অঞ্চলে সবথেকে বেশি বঞ্চিত করা হয়েছে সেটি হল বিন্ধ্যাচল। ফলে বাধ্য হয়ে বহু মানুষ এখান থেকে চলে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উত্তরপ্রদেশের মির্জাপুর এবং সোনভদ্র জেলায় গ্রামীণ পানীয় জল প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পানীয় জল সরবরাহের কাজ এখানে দ্রুততার সাথে হচ্ছে। আগামী দিনে এখানকার ৩৫০০ গ্রামকে পানীয় জল সরবরাহ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। এতে করে উপকৃত হবে ৪০ লাখের বেশি পরিবার। বিগত কয়েক বছরের মধ্যে এখানে প্রভূত উন্নতি হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও উন্নয়নের চাকা কিভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে হয় তা করে দেখিয়েছে উত্তরপ্রদেশ সরকার। বর্তমান সরকার এবং জনগণ উত্তরপ্রদেশের ভাবমূর্তিতে পরিবর্তন এনেছে। রাজ্য সরকারের প্রকল্প ‘ হার ঘর জল ‘ ভুয়সী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের ২.৬০ কোটি পরিবার উপকৃত হয়েছে।
রবিবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছেন, বিগত ৭০ বছরে রাজ্যের বিন্দ্য অঞ্চলের ৩৯৮ গ্রামে পানীয় জল সরবরাহ পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে আরো ৩ হাজার গ্রামে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া যাবে। মির্জাপুর এবং সোনভদ্র জেলার প্রায় ৪২ লক্ষ জনগণ এই প্রকল্পের মাধ্যমে উপকৃত হবে। এই প্রকল্পের দেখভালের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে গ্রামীণ জল এবং শৌচ কমিটি বা জল সমিতিকে। এর জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে ৫,৫৫৫.৩৮ কোটি টাকা। আগামী ২৪ মাসের মধ্যে গড়ে তোলা হবে।