BRAKING NEWS

নাগরোটা এনকাউন্টার নিয়ে দেশের সেনা বাহিনীকে বাহবা জানালেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ২০ নভেম্বর (হি.স.): নাগরোটা এনকাউন্টার নিয়ে টুইট করে দেশের সেনা বাহিনীকে বাহবা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। শুক্রবার পর পর দুটি টুইট করে তিনি লেখেন, আমাদের সেনা বাহিনী চূড়ান্ত সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। মূলত তাঁদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপে কোনও বিঘ্ন হয়নি।

জম্মু শহরের উপকণ্ঠে নাগরোটায় এনকাউন্টার নিয়ে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ে ২৬/১১ সন্ত্রাসী হামলার বার্ষিকীতে বড়সড় সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ছিল নিহত জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গিদের। গুরুত্ব বিবেচনা করে শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল, বিদেশ সচিব এবং শীর্ষ গোয়েন্দাদের সঙ্গে পর্যালোচনা বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।  পরে প্রধানমন্ত্রী সেনার প্রশ্নংসা করে দুটি টুইটও করেন। তিনি টুইটে তিনি লেখেন, পাকিস্তানে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদের ৪ জঙ্গি বিশাল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সঙ্গে থাকা ইঙ্গিত দেয় যে তারা বড় কোনও নাশকতার ছককষে  ছিল। কিন্তু তাদের সেই প্রচেষ্টা আবার ব্যর্থ হয়েছে। আমাদের সেনা বাহিনী চূড়ান্ত সাহসিকতা ও পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়েছে। মূলত তাঁদের তৎপরতায় জম্মু ও কাশ্মীরে তৃণমূল স্তরে গণতান্ত্রিক কার্যকলাপে কোনও বিঘ্ন হয়নি।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সকালে জম্মু শহরের উপকণ্ঠে নাগরোটায়, জম্মু-শ্রীনগর হাইওয়ের উপর বান টোল প্লাজায় সুরক্ষা বাহিনীর গুলিতে নিকেশ হয়েছে ৪ জন জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। ট্রাকে লুকিয়ে কাশ্মীর উপত্যকার দিকে যাচ্ছিল জঙ্গিরা। কিন্তু, ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর অতন্দ্র প্রহরায় জঙ্গিদের চেষ্টা ভেস্তে গিয়েছে। ৩ ঘন্টার গুলির লড়াইয়ে খতম হয় ৪ জন জঙ্গি। তবে, ওই ট্রাকের চালক এখনও পলাতক। চিন্তার বিষয় হল, ৪ জন জঙ্গির কাছ থেকে ১১টি একে-৪৭ রাইফেল, তিনটি পিস্তল, ২৯টি গ্রেনেড এবং অন্যান্য ডিভাইস উদ্ধার হয়েছে। এতো বিরাট পরিমাণ অস্ত্র নিয়ে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটাই এখন খতিয়ে দেখছে গোয়েন্দারা। মনে করা হচ্ছে ২৬/১১ ধাঁচে ফের কোনও ভয়ানক জঙ্গি হামলার ছক ছিল জইশের।  শেষ কবে কাশ্মীরে জঙ্গিদের কাছ থেকে এতো অস্ত্র উদ্ধার হয়নি। ফলে বড়সড় কোনও হামলার পরিকল্পনা ছিল বলেই মনে করছেন নিরাপত্তা আধিকারিকরা। জম্মু ও কাশ্মীরে সামনেই একটি নির্বাচন রয়েছে স্থানীয় স্তরে। মনে করা হচ্ছে, সেই নির্বাচনেই নাশকতা চালানোর ছক ছিল জঙ্গিদের। মনে করা হচ্ছে, ২৬/১১ দিনটিতেই হামলা চালানো হত। তবে নাগরোটায় এই এনকাউন্টার মোটেও হাল্কা নজরে দেখছে না। নয়াদিল্লির তৎপরতা সেই দিকেই ইঙ্গিত দিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *