পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা পরিষেবা চালুর সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের

আগরতলা, ১১ নভেম্বর (হি.স.)৷৷ ত্রিপুরায় পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৪ ঘণ্টা স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে৷ ওই পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের মধ্যে চারটি এডিসি এলাকায় রয়েছে৷ এদিকে, গোমতি জেলার প্রত্যন্ত এলাকার সরকারি প্রকল্প বাস্তবায়নের খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব৷


এক টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাঁচটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ২৪ অ ৭ স্বাস্থ্য পরিষেবা চালু করা হবে৷সেগুলি হল ধলাই জেলার জামথুম, পশ্চিম ত্রিপুরার হেজামারা, লেফুঙ্গা এবং দক্ষিণ ত্রিপুরার মনুঘাট ও রাধানগর পিএইচসি৷ সাথে তিনি যোগ করেন, ওই পাঁচটির মধ্যে চারটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র এডিসি এলাকার অন্তর্গত৷ সংশ্লিষ্ট পাঁচটি এলাকার মানুষ সপ্তাহে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা পাবেন৷ তাঁর দাবি, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চল পর্যন্ত স্বাস্থ্য পরিষেবা পৌঁছে দিতে ত্রিপুরা সরকার বদ্ধপরিকর৷
এদিকে, আজ চেলাগাংয়ে গ্রাম সমিতির সদস্যদের সাথে মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করেছেন৷ কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের প্রকল্পগুলি বাস্তবায়নের বিষয়ে তাঁদের কাছ থেকে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি৷ সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা যাতে আরও বেশি করে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সে ব্যাপারে সদস্যদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷

আরেকটি টুইট বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি প্রকল্প অন্তিম ব্যক্তির কাছ পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া ত্রিপুরা সরকারের উদ্দেশ্য৷ তাই, জনসাধারণের কাছে সেই প্রকল্পগুলি পৌঁছে যাচ্ছে কি না তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে সরকারের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে চেলাগাং ভিসি কার্যালয় পরিদর্শন করেছি৷ তিনি দাবি করেছেন, জামথুমের মতো এই এলাকায়ও সরকারি প্রকল্পগুলির সুবিধা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছচ্ছে৷
এদিন তিনি আরও জানিয়েছেন, চেলাগাং প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রও পরিদর্শনে গিয়েছিলাম৷ সেখানকার স্বাস্থ্যকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছি৷ কোভিড পরিস্থিতিতে যে ভাবে আমাদের স্বাস্থ্যকর্মীরা মানুষের সেবায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন তা অভূতপূর্ব, প্রশংসা করে বলেন মুখ্যমন্ত্রী৷


এদিকে, আজ চেলাকাহাম হাইসুকলে পৌঁছে বাচ্চাদের সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ তাদের সাথে কথা বলে ভীষণ আনন্দিত হয়েছেন তিনি৷ তাঁর দাবি, সুকলের ছাত্রছাত্রীদের কাছে বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছি এবং সেই সমস্যাগুলি মেটানোর ব্যাপারে জেলা প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়েছি৷ তিনি টুইট করে বলেন, শিশুরাই ত্রিপুরার ভবিষ্যত৷ তাদের যাতে কোনও সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় তা খেয়াল রাখা আমাদের কর্তব্য৷
এদিন মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত ডিভিশনের কাজের পর্যালোচনা রিপোর্ট নিয়েছেন৷ এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা দূরীকরণে ডিডব্লিউএস বিভাগের আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি৷ একই সঙ্গে আধিকারিকদের নির্দেশ দিয়েছেন, জনগণের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে এবং তাঁদের সমস্যা সমাধানে যত্নশীল হতে হবে৷
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, অন্ত্যোদয় বিচার ধারা থেকে ত্রিপুরা সরকার রাজ্যের অন্তিম ব্যক্তি পর্যন্ত পৌঁছে যেতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ৷ তাই, আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব, অন্যান্য বড় দফতরের সচিব, জেলা ও স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে যতনবাড়ি টিসিইসিএল ডাকবাংলোয় বৈঠক করেছি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *