ভোপাল ও নয়াদিল্লি, ৩১ অক্টোবর (হি.স.): লাগাতার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাচন কমিশনের কোপে পড়েছেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা কমল নাথ। কমল নাথের তারকা প্রচারকের তকমা তুলে নিয়েছে নির্বাচন কমিশন। যদিও, কমল নাথের মতে, ‘তারকা প্রচারক কোনও পদ অথবা মর্যাদা নয়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, ১০ নভেম্বরের পর যা বলার বলব।’ কমল নাথের এই মানসিকতাকেই তীব্র ধিক্কার জানালেন বিজেপি নেতা জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। শনিবার জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বলেন, কমল নাথের আচরণ দেখে আমি সত্যিই অবাক। নির্বাচন কমিশনের পদক্ষেপ এবং প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি তাঁকে ক্ষমা চাইতে বলেছেন, তা সত্বেও তিনি ক্ষমা চাইছেন না। ৩ নভেম্বর জনগণই তাঁকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করবে এবং অহঙ্কারের যোগ্য জবাব দেবে।’
মধ্যপ্রদেশের উপ-নির্বাচনে তারকা প্রচারকের তকমা হারিয়েছেন কমল নাথ। কিন্তু, নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপে কমল নাথের যে কিছু যায় আসে না, নিজের মন্তব্যেই তা বুঝিয়ে দিলেন মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কমল নাথ বলেন, ‘তারকা প্রচারক কোনও পদ অথবা মর্যাদা নয়। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না, ১০ নভেম্বরের পর আমি যা বলার লব। সর্বোপরি জনগণই সবকিছু, তাঁরাই সমস্ত কিছু জানেন।’
উল্লেখ্য, কমল নাথের তারকা প্রচারকের তকমা তুলে নিয়ে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “তাঁকে (কমল নাথ) একাধিক বার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তা সত্ত্বেও তিনি বারবার নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করছেন। যে কারণে মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের তারকা প্রচারকের পদমর্যাদা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি মধ্যপ্রদেশের উপ-নির্বাচনের জন্য কার্যকর থাকবে”।