BRAKING NEWS

পুরোহিত হত্যায় ক্ষোভে ফুঁসছে পরিবার, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা রাজ্যপালের

করৌলি (রাজস্থান), ১০ অক্টোবর (হি.স.): রাজস্থানের করৌলি জেলায় পুরোহিত হত্যায় ক্ষোভ ক্রমশই বাড়ছে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। ক্ষতিপূরণ-সহ একাধিক দাবিতে এবার ক্ষুব্ধ পরিবারের সদস্যরা জানিয়ে দিলেন, রাজস্থান সরকার যতক্ষন না পর্যন্ত তাঁদের সমস্ত দাবিদাওয়া পূরণ করছে, ততক্ষন পর্যন্ত পুরোহিতের দেহ সৎকার করবেন না তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে শনিবার করৌলিতে পুরোহিত-হত্যা, বারমের ধর্ষণ মামলা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে কথা বলেছেন রাজস্থানের রাজ্যপাল কলরাজ মিশ্র। উদ্বিগ্ন রাজ্যপালকে অশোক গেহলট আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন, সমস্ত মামলার তদন্ত চলছে এবং দোষীদের কোনও ভাবেই রেয়াত করা হবে না।


রাজস্থানের রাজধানী জয়পুর থেকে ১৭৭ কিলোমিটার দূরে করৌলি জেলার বুকনা গ্রামে, একদল লোক কেরোসিন ঢেলে একজন পুরোহিতের গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশ সূত্রে খবর, বুকনা গ্রামের রাধাকৃষ্ণ মন্দিরে পুজো করতেন বাবুলাল বৈষ্ণব নামের ওই ব্যক্তি। নিয়মিত যাতে তিনি পুজোআচ্চা চালিয়ে যান, তার জন্য তাঁকে মন্দিরের কেয়ারটেকার পুরোহিত নিযুক্ত করে রাধাকৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্ট। জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই এই হত্যা বলে জানা যাচ্ছে।

ওই পুরোহিতের মৃত্যুর পর দু’দিন হয়ে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও সৎকার করা হয়নি তাঁর দেহ। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, রাজস্থান সরকার যতক্ষন না পর্যন্ত তাঁদের সমস্ত দাবিদাওয়া পূরণ করছে, ততক্ষন পর্যন্ত পুরোহিতের দেহ সৎকার করবেন না তাঁরা। শনিবার ললিত নামে ওই পুরোহিতের একজন আত্মীয় জানিয়েছেন, ‘আমাদের দাবিদাওয়া পূরণ না হওয়া পর্যন্ত সৎকার করব না। আমরা ৫০ লক্ষ টাকা আর্থিক ক্ষতিপূরণ এবং পরিবারের একজন সদস্যের সরকারি চাকরির দাবি জানাচ্ছি। সমস্ত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে এবং পটওয়ারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে, যে সমস্ত পুলিশ কর্মী অভিযুক্তদের সমর্থন করেছে তাঁদেরও শাস্তি চাই। আমরা নিরাপত্তারও দাবি জানাচ্ছি।’ এ প্রসঙ্গে করৌলির মহকুমা শাসক ওম প্রকাশ মীনা জানিয়েছেন, ‘পুরোহিতের পরিবার একাধিক দাবিদাওয়া রেখেছে। তাঁদের দাবিদাওয়া সম্পর্কে সরকারকে অবগত করা হবে। মৃত্যুর পর যেহেতু দু’দিন হয়ে গিয়েছে, তাই দেহ সৎকার করার জন্য তাঁদের আমরা অনুরোধ করেছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *