BRAKING NEWS

মেঘালয়ের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইছেন উন্নয়ন-বঞ্চিত অসমের সাতটি গ্রামের জনতা

পলাশবাড়ি (অসম), ২৮ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : মেঘালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত হতে চাইছেন উন্নয়ন-বঞ্চিত অসমের সাতটি গ্রামের জনগণ। পাহাড়সম সমস্যার সমাধানে ন্যূনতম পদক্ষেপ নেননি পলাশবাড়ির বিধায়ক প্রণব কলিতা। সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে চিরদিনের বঞ্চিত মানুষ এভাবেই নিজেদের ক্ষোভ ব্যক্ত করেছেন।

বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে সচেতন নাগরিক তথা বুদ্ধিজীবী মহলে। কামরূপ গ্রামীণ জেলার অন্তর্গত পলাশবাড়ি অঞ্চলের সাতটি পশ্চাদপদ গ্রাম তথা প্রত্যন্ত অঞ্চল যথাক্রমে গরুবান্ধা, বেসিমারি, দেওয়ানবিল, বরগরাং, বেংগেলীলা, কটাবাড়ি এবং শান্তিবিলের  বাসিন্দারা তাদের এলাকাগুলোকে মেঘালয়ের  পশ্চিম খাসিপাহাড় জেলার সঙ্গে শামিল করার সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ করেছেন।

ওই সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা বিজেপি সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যসূচি থেকে বঞ্চিত থাকার জন্য দারুণ ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছেন। বিজেপি সরকার তাঁদের প্রতি মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় উন্নয়ন বঞ্চিত জনসাধারণ নিরুপায় হয়ে শেষমেষ সংলগ্ন মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে সংযুক্ত হয়ে যাওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

সংশ্লিষ্ট গ্রামগুলোর জনগণের অভিযোগ, স্বাধীনতার ৭৩ বছর পরও তাঁদের এলাকায় কোনও ধরণের উন্নয়নমূলক কাজকর্ম হয়নি। ওই সব গ্রামের বাসিন্দারা জানান, রাস্তাঘাটের যোগাযোগ, বিশুদ্ধ পানীয় জল, বিদ্যুৎ পরিষেবা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শিক্ষার মতো মৌলিক প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত রয়েছেন। আধুনিক যুগে জনগণের সুবিধাসমূহের প্ৰতি চরম অবহেলা ও বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যে অসম সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্ৰতিবাদও সাব্যস্ত করেছেন তাঁরা।


পাশাপাশি আরও অভিযোগ করে তাঁরা জানান, তাঁদের এই দুরবস্থার জন্য স্থানীয় পলাশবাড়ির বিধায়ক প্রণব কলিতা দায়ী। গ্রামগুলোর একাধিক জ্বলন্ত সমস্যা দূর করতে স্থানীয় বিধায়ক প্রণব কলিতা ন্যূনতম পদক্ষেপ নেননি বলে খেদ ব্যক্ত করেছেন এলাকার দুর্দশাগ্রস্ত ভুক্তভোগী জনগণ।

এদিকে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ক্ষুব্ধ জনগণ অসম ছেড়ে মেঘালয় রাজ্যের সঙ্গে অন্তর্ভুক্তির মতো কঠিন আগ্রহ তথা সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে বুদ্ধিজীবী তথা সচেতন মহলে তীব্র উদ্বেগজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। অসমের ভৌগোলিক সীমানা বিষয়ক স্পর্শকাতর এই বিষয়টি নিঃসন্দেহে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা তীব্রতর হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *