BRAKING NEWS

স্বাস্থ্যের অবনতি প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের, দিল্লি থেকে আসলেন এইমস-এর ডাক্তার

গুয়াহাটি, ২৭ সেপ্টেম্বর (হি.স.) : ঘন ঘন অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং অন্যান্য উপসর্গের জন্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের স্বাস্থ্যের অবনতি হচ্ছে। তাঁই তাঁকে দেখে পরামর্শ গ্রহণের জন্য দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয়েছে এইমস-এর জনৈক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারকে। আজ রবিবার বিমানে তিনি এসে সোজা চলে যান গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে।

গত দুদিন আগে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈয়ের যেভাবে শারীরিক অবস্থার ওঠানামা করছে, তাতে প্রয়োজনে দিল্লির এইমস থেকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ডাকা হবে। সে অনুযায়ী তিনি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। আজ সকালে গুয়াহাটির গোপীনাথ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে পালমন্যাটরি মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ ডা. অনন্ত মোহন সোজা চলে যান মেডিক্যাল কলেজে। তিনি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউতে ভরতি তরুণ গগৈয়ের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে গঠিত কমিটির প্রায় সব সদস্য তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

আইসিইউতে তরুণ গগৈকে দেখে তাঁর চিকিৎসা ব্যবস্থা সম্পর্কে নানা বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন এইমস-এর ডা. অনন্ত মোহন। সব রিপোর্ট ইত্যাদি দেখে, কী কী ওষুধ চলছে সে সবও দেখেছেন ডা. অনন্ত। সব দেখে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তাররা যে সব ওষুধ রোগীকে দিচ্ছেন সে সব নিয়মিত চালিয়ে যেতে বলেছেন এইমস-এর মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। এছাড়া তিনি অসুস্থ গগৈকে স্বাভাবিক আহার নিতে এবং হালকা ব্যায়ামের পরামর্শও দিয়েছেন বলে মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে জানা গেছে। তিনি নাকি বলেছেন, রোগীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল, দুশ্চিন্তার কোনও কারণ নেই। নিয়মিত খাবার এবং ব্যায়াম করলে শীঘ্রই সুস্থ হয়ে ঘরে যেতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, গত ২৬ আগস্ট রাতে কোভিড-১৯ পজিটিভ ধরা পড়েছিল অসমের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা প্রায় বছর ৯০-এর তরুণ গগৈয়ের শরীরে। ওইদিন রাতেই তাঁকে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসাপাতালে ভরতি করা হয়। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঁচ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের একটি টিম গঠন করে দিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। তবে তাঁর দেহে অক্সিজেনের পরিমাণ একবার কমে তো আবার স্বাভাবিক হতে থাকে। এমতাবস্থায় শারীরিক অবস্থায় দ্রুত ওঠা-নামা করতে থাকে তরুণ গগৈয়ের। এর জন্য এইমস থেকে বিশেষজ্ঞ এনে তাঁর স্বাস্থ্যের পরীক্ষা করানোর প্রয়োজন মনে করেছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. শর্মা। তবে পরবর্তীতে কোভিড-১৯ টেস্টে তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *