BRAKING NEWS

অভিজ্ঞতা, প্ৰত্যাহ্বান, ভবিষ্যতের প্ৰয়োজনের কথা মাথায় রেখেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি, শিক্ষা সংস্থার অধ্যক্ষ রামকৃষ্ণ রাওয়ের

গুয়াহাটি, ৩১ জুলাই (হি.স.) : অতীতের অভিজ্ঞতা, বৰ্তমানের প্ৰত্যাহ্বান এবং ভবিষ্যতের প্ৰয়োজনের কথা মাথায় রেখেই নতুন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রবর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে, এই মত পোষণ করেছেন অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থার অধ্যক্ষ ডি রামকৃষ্ণ রাও।

এক বিবৃতি জারি করে রামকৃষ্ণ রাও বলেছেন, কেন্দ্ৰীয় সরকার শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, বিচারক, শিক্ষা প্ৰতিষ্ঠানের প্ৰধান, প্ৰশাসন তথা অন্যান্য শিক্ষা ক্ষেত্ৰের সঙ্গে সম্পৃক্তদের সঙ্গে শলা-পরামৰ্শ করে, একাধিক সেমিনার করে ভেবেচিন্তেই জাতীয় শিক্ষা নীতি অনুমোদন করেছে। নিশ্চিতভাবে এটি একটি পরিবৰ্তনশীল এবং নতুন দিশারী হবে। কেন্দ্ৰীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে প্ৰশংসনীয় আখ্যা দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্ৰীয় সরকারের নতুন এই শিক্ষানীতি সৰ্বজনীন, একাত্ম, সৰ্বসাধারণ তথা উচ্চ গুণসম্পন্ন হবে বলেও মনে করেন ডি রামকৃষ্ণ। নয়া শিক্ষা নীতি একবিংশ শতকের জন্য অতুলনীয়, মানবসৃষ্ট শিক্ষা পদ্ধতির দিক উন্নতীকরণে সহায়ক হবে, তাই একে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি।

নয়া শিক্ষা নীতির ৫+৩+৩+৪-এর নিয়ম মতে প্ৰাথমিক স্তর থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পৰ্যন্ত একটি স্তর গঠন করে ব্যবহারিক শিক্ষা দেওয়া হবে। শিশুর পরিচৰ্যা শিক্ষার পাশাপাশি স্বাস্থ্য শিক্ষা, পোষণ সেই সঙ্গে আত্মনিৰ্ভর তথা বিকাশের জন্য বিভিন্ন জায়গায় শিক্ষা মণ্ডল গঠন করা হবে। দেশের ১০ লক্ষ  আঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষার মাধ্যমে ৭ কোটি শিশুকে শিক্ষার মূল বিষয়বস্তুর সঙ্গে সংযোগ করার লক্ষ্য হাতে নেওয়া হয়েছে। মাঝপথে স্কুলছুট শিশুদের শতকরা হারের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে সেইসব শিশুর শিক্ষা দানের বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তাদের গুরুত্ব দেওয়াটাই নতুন শিক্ষা নীতির প্ৰধান উদ্দেশ্য। নতুন শিক্ষা ব্যবস্থায় সামাজিক এবং অৰ্থনৈতিকভাবে পশ্চাদপদ শিশুদের বিদ্যায়তনিক শিক্ষার মাধ্যমে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া এই শিক্ষা নীতির মূল প্ৰয়াস। জীবনের জন্য প্ৰয়োজনীয় এবং ক্ষমতাসম্পন্ন শিক্ষার বিকাশ, অধিগম শিক্ষাকে আধার হিসেবে নিয়ে শুধু সামগ্ৰী এবং বৈজ্ঞানিক বিচারের বিকাশ, ডিজিট্যাল মাধ্যম এবং বহুভাষিক শিক্ষার মাধ্যমেই নয়, ভবিষ্যতে মানবসম্পদ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নতুন এই শিক্ষানীতি বিশেষ ভূমিকা নেবে। শুধু পরীক্ষার মাধ্যমেই ছাত্ৰছাত্ৰীদের মূল্যায়ন নয়, তাদের মানসিক বিকাশের প্ৰতি লক্ষ্য রেখে জীবনে বৈজ্ঞানিক দিকে দিগদৰ্শন করতে পারে এমন এক শিক্ষানীতি হিসেবে নতুন পদ্ধতি বিবেচিত হবে।

অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থা মনে করে, ২০২০ সালে গৃহীত নতুন শিক্ষানীতি সফল ভূমিকা নিতে পারবে বলে সকলেই আশাবাদী। ১৯৬৮ সালের শিক্ষা নীতির নিয়ম মতে শিক্ষাক্ষেত্ৰে বহু অসুবিধার সম্মুখীন হয়েও বৰ্তমানের শিক্ষা ব্যবস্থা চালিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নয়া নীতিতে শিক্ষা ক্ষেত্ৰে আমূল পরিবৰ্তন আসবে, ঠিক এমনটাই আশা প্ৰকাশ করেছেন অখিল ভারতীয় শিক্ষা সংস্থার অধ্যক্ষ ডি রামকৃষ্ণ রাও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *