নয়াদিল্লি, ২৭ জুলাই (হি. স.): মুম্বই, কলকাতা এবং নয়ডায় অত্যাধুনিক করোনা নির্ধারণ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ভারতীয় চিকিৎসা বিজ্ঞান গবেষণা পরিষদ আইসিএমআরের অধীনে এই অত্যাধুনিক পরীক্ষা কেন্দ্রগুলিকে গড়ে তোলা হয়েছে। প্রতিটি পরীক্ষাগার দিনে ১০ হাজার নমুনা পরীক্ষা করতে সক্ষম।
উদ্বোধন উপলক্ষে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে উপস্থিত ছিলেন। এই উপলক্ষে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা: হর্ষবর্ধন এবং প্রতিমন্ত্রী অশ্বিনী কুমার চৌবে।এই উপলক্ষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী জানিয়েছেন, দেশ সাহসের সঙ্গে করোনা মোকাবিলা করে চলেছে। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সংযুক্ত পরীক্ষাগার এর মাধ্যমে উত্তরপ্রদেশ মহারাষ্ট্র এবং পশ্চিমবঙ্গে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই আরও শক্তিশালী হয়ে উঠবে। দিল্লি, মুম্বাই, কলকাতা দেশের আর্থিক কেন্দ্র। কয়েক কোটি মানুষ এখানে এসে কাজ করে।এই পরীক্ষাগারের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে পরীক্ষা করা সম্ভব। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি হেপাটাইটিস বিসি, এইচআইভি, ডেঙ্গু সহ অন্যান্য বহু রোগের চিকিৎসা হবে। দেশ সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। তাই বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের অবস্থা অনুকূলে। দেশে মৃত্যুর হার কম এবং সুস্থ হয়ে ওঠার হার অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি।কেন্দ্রীয় সরকার প্রথম থেকেই করোনা মোকাবিলার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।এর জন্য ১৫ হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা আগেই করা হয়েছিল।বর্তমানে গোটা ভারতে ১১ হাজারেরও বেশি স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে।১১ হাজারের বেশি আইসোলেশন শয্যা রয়েছে। করোনা পরীক্ষার জন্য আগে যেখানে গোটা দেশে একটা মাত্র পরীক্ষাগার ছিল।এখন সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০০ র বেশি।এই পরীক্ষাগারগুলোতে পাঁচ লাখেরও বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হচ্ছে। পার্সোনাল প্রটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট, মাস্ক এবং টেস্টিং কিট তৈরি করার ক্ষেত্রে ভারত নতুন উচ্চতায় অর্জন করেছে। বারোশো বেশি ম্যানুফ্যাকচারার রয়েছে যারা প্রতিদিন পাঁচ লক্ষ কিট তৈরি করে চলেছে। তিন লাখেরও বেশি এন ৯৫ মাস্ক প্রতিদিন তৈরি হচ্ছে। তিন লাখেরও বেশি ভেন্টিলেটার তৈরি করার ক্ষমতা ভারত অর্জন করেছে। সবার ঐক্যবদ্ধ মনোভাবের জন্য ভারত এখন আমদানি কমিয়ে দিয়ে রপ্তানি বেশি করছে।আগামী দিনে উৎসবের মরশুমগুলিতে সামাজিক দূরত্ব সর্তকতা বজায় রাখতে হবে।প্রতিষেধক তৈরি করার কাজ দ্রুততার সঙ্গে চলছে।