গুয়াহাটি, ২৪ জুলাই (হি.স.) : ওষুধ কেনার জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে বেরিয়ে গুয়াহাটিতে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে দিব্যাঙ্গ (বিশেষভাবে সক্ষম) কিশোরকে। তার ওষুধ শেষ হয়ে যাওয়ায় বাবা পলাশ চলিহাকে ছেলেকে নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা নাগাদ ফার্মাসিতে যাওয়ার পথে পুলিশের হাতে বেধড়ক মার খেতে হয়েছে ওই দিব্যাঙ্গ কিশোরকে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি সংঘটিত হয়েছে গুয়াহাটির ভরলুমুখে। তবে ঘটনার সঙ্গে জড়িত পুলিশকর্মীর বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আশ্বস্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত সঞ্চালকপ্রধান জিপি সিং।
নৈশ কার্ফুর অজুহাতে বিশেষভাবে সক্ষম ওই কিশোরের পেছন দিকে সজোরে লাঠিপেঠা করতে বিবেকে বাঁধেনি ভরলুমুখ পুলিশের। বেদনাদায়ক ঘটনাকে কেন্দ্র তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে গুয়াহাটিতে। বাবা-ছেলে কীসের প্রয়োজনে রাতে ঘর থেকে বেরিয়েছে তা জানতে চায়নি পুলিশ। কোনও রকম জিজ্ঞাসাবাদ না করে আচমকা পেছন থেকে লাঠি দিয়ে সজোরে পেটাই শুরু করেন কর্তব্যরত পুলিশকর্মী, অভিযোগ করছেন ঘটনার শিকার কিশোরের বাবা পলাশ চলিহা। তিনি পুলিশের এমন নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় মর্মাহত হয়ে তাঁর ছেলের ন্যায় বিচার চেয়ে ইতিমধ্যে সোশাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও আপলোড করেছেন। অসহায় দিব্যাঙ্গ ছেলেকে পুলিশি অত্যাচারের কারণ জানতে চাওয়ার জন্য উল্টো বাবা-ছেলেকে গ্রেফতার করার হুমকিও নাকি দেওয়া হচ্ছে বলে ভিডিওতে অভিযোগ করছেন পলাশ চলিহা।
এদিকে পুলিশের এমন অমানবিক ঘটনার খবর চাউর হতেই বিভিন্ন মহল থেকে এই আতিশয্যের নিন্দা জানানো হচ্ছে। সোশাল মিডিয়ায় পুলিশের কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণ জানতে পেরে নড়েচড়ে বসেছেন আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত পুলিশপ্রধান জিপি সিং। পুলিশি নির্যাতনের শিকার দিব্যাঙ্গ কিশোর ও তার বাবাকে আশ্বস্ত করে ঘটনায় জড়িত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্তক্রমে বিহিত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে ট্যুইট যোগে স্পষ্ট জানিয়েছেন এডিজিপি (আইনশৃঙ্খলা) জিপি সিং।