নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২১ জুলাই৷৷ রেল সফরে যাত্রীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন৷ টিকিট বিক্রির হার তা প্রমাণ করেছে৷ কারণ, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্পেশাল ট্রেনে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে৷ উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাতটি স্পেশাল ট্রেন যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে৷ তাতে একটি ট্রেনে ৮১ শতাংশ এবং আরেকটিতে ৯৮ শতাংশ টিকিট বিক্রি হয়েছে৷ বাকি পাঁচটি ট্রেনে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে৷ তাতেই প্রমাণিত, রেল সফরে যাত্রীরা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়েছেন, দাবি করেন তিনি৷
শুভানন চন্দ বলেন, করোনা-র প্রকোপে স্বাভাবিক রেল পরিষেবা সর্বত্রই বন্ধ৷ মাঝে প্রচুর শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন চলেছে৷ তাঁর কথায়, পরিযায়ী শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে পৌঁছে দেওয়ার পাশাপাশি ১০০ জোড়া স্পেশাল শ্রমিক ট্রেন ১ জুন থেকে সারা দেশে যাত্রী পরিষেবা দিচ্ছে৷ তাতে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সাতটি শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন যাত্রী পরিষেবায় জারি রেখেছে৷ সম্পূর্ণ বাতানুকূল ওই ট্রেনে কোনও আসন খালি থাকছে না বলে দাবি করেন তিনি৷
উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ের গত এক মাসের তথ্য তুলে ধরে শুভানন চন্দ বলেন, বিভিন্ন স্পেশাল ট্রেনের যাত্রী সংখ্যার রেকর্ড থেকে দেখা গেছে অধিকাংশ ট্রেনের সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে৷ তিনি বলেন, ডিব্রুগড়-নিউদিল্লি রাজধানী স্পেশাল ট্রেনে ৯৮ শতাংশ, নিউ আলিপুরদুয়ার-শিয়ালদহ পদাতিক ট্রেনে ৮১ শতাংশ টিকিট এবং ডিব্রুগড়-দিল্লি ব্রহ্মপুত্র মেইল স্পেশাল, আলিপুর জংশন-দিল্লি মহানন্দা স্পেশাল, গুয়াহাটি- এলটিটি স্পেশাল, নিউ জলপাইগুড়ি- অমৃতসর কর্মভূমি স্পেশাল এবং আগরতলা- নিউদিল্লি রাজধানী স্পেশাল ট্রেনে সমস্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে৷
এই তথ্যের ভিত্তিতে শুভাননবাবু দাবি করেন, রেলের প্রতি মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে তা প্রমাণিত হয়েছে৷ সাথে তিনি যোগ করেন, বিভিন্ন রাজ্যে রেল সফরে রেলওয়ের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্যই তা সম্ভব হয়েছে৷ তবে, বিশেষ প্রয়োজনেই রেখে সফরের জন্য যাত্রীদের প্রতি আবেদন জানিয়েছে উত্তরপূর্ব সীমান্ত রেলওয়ে৷ তাতে করোনা-র সংক্রমণ মোকাবিলায় সহায়ক হবে, বলেন তিনি৷