নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৭ জুলাই৷৷ প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা-য় সুবিধাভোগীদের বাড়িতে এলপিজি সিলিন্ডার হোম ডেলিভারির মাধ্যমে পৌঁছাতে হবে৷ এজন্য কেন্দ্রীয় সরকার ইন্ডিয়ান অয়েল কপর্োরেশনের মাধ্যমে গ্যাস এজেন্সিগুলিকে সিলিন্ডার প্রতি ২৮ টাকা প্রদান করে থাকে৷ এ বিষয়ে রাজ্যের জনগণকে সচেতন করার জন্য খাদ্য দফতরকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে৷ আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ের ২ নম্বর কনফারেন্স হল-এ খাদ্য দফতরের পর্যালোচনা সভায় ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব এই নির্দেশ দিয়েছেন৷
সভায় খাদ্য দফতরের বিভিন্ন প্রকল্পের পর্যালোচনা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনার সকল ভোক্তাগণ যাতে এলপিজি সিলিন্ডার সংগ্রহ করতে পারেন তা নিশ্চিত করতে হবে৷ যদি কোনও এলপিজি গ্যাস এজেন্সি ভোক্তাদের হোম ডেলিভারির মাধ্যমে সিলিন্ডার না পৌঁছায় তা হলে ওই এজেন্সির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে ইন্ডিয়ান অয়েল কপর্োরেশনের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী৷
সভায় খাদ্য দফতরের অধিকর্তা তপন কুমার দাস বলেন, রাজ্যে বর্তমানে ১,৮১৩টি রেশনশপ রয়েছে৷ এর মধ্যে নগর এলাকায় রয়েছে ৩৯৫টি এবং গ্রামীণ এলাকায় রয়েছে ১,৪১৮টি৷ রেশনশপগুলিতে ভোক্তা অধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে বায়োমেট্রিক অথেনটিকেশনের মাধ্যমে রেশন সামগ্রী প্রদান করা হচ্ছে৷ ফলে প্রকৃত ভোক্তারা তাঁদের পণ্য সামগ্রী রেশন থেকে সংগ্রহ করতে পারছেন৷ তিনি জানান, রাজ্যে বর্তমানে রেশনকার্ডের সঙ্গে আধার সংযুক্তিকরণ ১০০ শতাংশ করা হয়েছে৷ রাজ্যে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে অন্তঃরাজ্য পোর্টাবিলিটির সুবিধা চালু করা হয়েছে৷
এ-বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, রাজ্যে বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গনবন্টন ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা আনার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে৷ এই লক্ষ্যে গণবণ্টন ব্যবস্থায় সবকিছু ডিজিটালাইজেশন করা হয়েছে৷ রাজ্য সরকারের এই সাফল্যকে বেশি করে প্রচারে নিয়ে যাওয়ার জন্য দফতরকে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি৷
সভায় খাদ্য দফতরের অধিকর্তা আরও জানান, ত্রিপুরায় এখন গোডাউন থেকে ন্যায্যমূল্যের দোকান পর্যন্ত পরিবহণ, স্টক ইত্যাদি সবকিছুই অনলাইনের মাধ্যমে হয়ে থাকে৷ রাজ্যে বর্তমানে আগরতলার ধর্মনগর ও উদয়পুরে তিনটি ট্রানজিট ডিপো রয়েছে৷ তাছাড়া ৭টি এফসিআই-এর বেইস ডিপো রয়েছে৷ এছাড়াও গোডাউন থেকে অন্য কোনও গোডাউন পর্যন্ত পণ্য দ্রব্য পৌঁছানোর জন্য ৬৯টি তালিকাভুক্ত ট্রান্সপোর্ট কন্ট্রাক্টর, গোডাউন থেকে রেশনশপে পণ্য দ্রব্য সরবরাহের জন্য ১৬০টি ডোরস্টেপ ডেলিভারি কন্ট্রাক্টর রয়েছে৷ খাদ্য অধিকর্তা আরও জানান, রাজ্যে বর্তমানে ৩টি তালিকাভুক্ত ময়দা মিল, ৬৫টি গম ভাঙার মিল রয়েছে৷
এ-প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ডাল সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলি পর্যাপ্ত পরিমাণে রাজ্যে মজুত রয়েছে কিনা তা নিয়মিত তদারকি করতে হবে৷ রেশনশপের মাধ্যমে যাতে ডাল নিয়মিত সরবরাহ করা হয় তা দফতরকে নিশ্চিত করতে হবে৷