BRAKING NEWS

গুয়াহাটিতে লকডাউনের শিথিলতার সুযোগে ভিড়ভাট্টা না করার আহ্বান স্বাস্থ্যমন্ত্রী, শুনিয়েছেন করোনা-তথ্য

গুয়াহাটি, ৫ জুলাই (হি.স.) : আগামীকাল (৬ এবং ৮ জুলাই) গুয়াহাটি মহানগরে আংশিক শিথিল করা হবে লকডাউন। তবে শিথিলতার সুযোগে কোভিড প্রটোকল ভেঙে মুদি দোকানের সামনে কোনও ধরনের ভিড় না করে প্রয়োজনীয় সামগ্রী কিনতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকদের আহ্বান জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী হিমন্তবিশ্ব শৰ্মা। জনতা ভবনে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আজ করোনা সম্পর্কিত বেশ কিছু তথ্য দিয়েছেন।

উদ্বেগ প্রকাশ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ড. শর্মা জানান, গুয়াহাটিতে যতজন করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন, তাদের মধ্যে ৩০ শতাংশই পজিটিভ ধরা পড়ছে। গুয়াহাটির পরিস্থিতি দ্ৰুতগতিতে অবনতি ঘটছে। যারা করোনাকে নিয়ে উপহাস করেন, এটা কোনও রোগ নয় বলে দাবি করেন তাদের সমালোচনা করেছেন হিমন্তবিশ্ব। যে রোগকে অতিমারি বলে ঘোষণা করা হয়েছে, তাকে নিয়ে এ ধরনের দাবি উপহাস সমাজের জন্য ক্ষতিকারক বলে নিন্দা করেছেন সংশ্লিষ্টদের।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, অসমে করোনায় আক্ৰান্ত খুব বেশি রোগীর স্বাস্থ্যের অবস্থা সংকটজনক নয়। রোগীদের সুস্থ করে তুলতে চিকিৎসার সঙ্গে জড়িতরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। সাংবাদিকদের এক জিজ্ঞাসার জবাবে মন্ত্রীর তথ্য, গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন ২৫ জন, মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী হাসপাতালের আইসিইউতে পাঁচজন, ডিব্রুগড়ের আসাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন দু-জন, শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে আছেন পাঁচ জন, যোরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে একজন এবং একজন আছেন বরপেটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে। তাছাড়া, অক্সিজেন এবং ভেন্টিলেটরে রয়েছেন ২০-এর বেশি রোগী। ভেন্টিলেশন ছাড়া আইসিইউতে আছেন ৩২ জন। অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে ১৫ জন রোগীকে। রাজ্যে ইতিমধ্যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে, জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা।

তিনি জানান, ইতিমধ্যে গুয়াহাটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্লাজমা থেরাপির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল প্ৰথম প্লাজমা দিয়েছেন একজন ডাক্তারই। তিনি ডা. লিথিকেশ। অন্য প্রসঙ্গে মন্ত্রীর দাবি, করোনা পরীক্ষার চতুর্থ স্থানে রয়েছে অসম।

রাজ্যে কিছু কিছু করোনা পরীক্ষার রেজাল্ট ভুল পাওয়া যাচ্ছে, এ সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, সমগ্ৰ অসমে করোনা পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হতে পারে। রাজ্যে এ মহূর্তে ৪ লক্ষের বেশি মানুষের করোনা টেস্ট করা হয়েছে। এত কাজে নামলে কোথাও ডাটা এন্ট্রি করতে ভুল হতে পারে। স্বাস্থ্য কর্মীরা এ সব শুধরেও নিচ্ছেন ক্ষণিকের মধ্যে। এমতাবস্থায় এ ধরনের ভুলকে নিয়ে বড় বেশি প্রচার ভালোর চেয়ে ক্ষতি করবে।’ তবে এখন পর্যন্ত রাজ্যের ভিন্ন স্থানে কতটা করোনা টেস্ট এবং কতটা ভুল হষ়েছে তারও তথ্য দিয়েছেন মন্ত্রী ড. শর্মা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *