নিজস্ব প্রতিনিধি, শান্তিরবাজার, ৩ জুলাই৷৷ খাদ্যের অভাবে পথ অবরোধে বসলো এলাকাবাসী৷ ঘটনার বিবরণে জানাযায় শান্তিরবাজার মহকুমার অন্তর্গত বাইখোড়া কুশারঘাট এলাকায় দুই পঞ্চায়েতের প্রায় ৮০ পরিবারের লোকজন কনটেনমেন্ট জোনে রয়েছে৷ এই দুই পঞ্চায়েত হল লতুয়াটিলা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পশ্চিম চড়কবাই গ্রাম পঞ্চায়েত৷ এই দুই পঞ্চায়েতের লোকজন পাশাপাশি অবস্থায় রয়েছে৷ জানা যায় আজ ৮ দিন উনারা কনটেন্টমেন্ট জোনে রয়েছেন৷ এই জোনে থাকার ফলে এলাকার লোকজন গ্রামের বাইরে কোথাও যেতে পারছেননা৷ এই গ্রামে অধিকাংশ লোকজন কৃষিজীবি ও শ্রমজীবি৷ কনটেন্টমেন্ট জুনের ফলে এলাকার লোকজন কৃষি কাজ করতে পারছেননা৷
অপরদিকে শ্রমজীবি লোকজনও কোনোপ্রকার কাজকরতে পারছেননা৷ এতেকরে অসহায় অবস্থায় সকলে ঘরে বসে অভুক্ত অবস্থায় রয়েছে৷ অবশেষে ধৈর্য্যের বাধ ভাঙ্গার পর এলাকার মহিলা ও পুরুষ একত্রিত হয়ে রাস্তায় নেমে পথ অবরোধে বসে৷ এলাকাবাসী সংবাদমাধ্যমের সন্মুখিনহয়ে জানান বিগত ৮ দিন যাবৎ এলাকার জনপ্রতিনিধি ও মহকুমা শাসক উনাদের কোনোপ্রকার খোঁজ খবর রাখেননি৷ উনারা মহকুমা শাসকের নিকট খাদ্যের জন্য আবেদন করেও কোনোপ্রকার উত্তর পাননি৷ অবশেষে ক্ষুদার জ্বালায় সকলে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে রাস্তায় বসে৷ এই অবরোধেরফলে রাস্তায় আটকে যায় বিজেপির ত্রিপুরা প্রদেশকমিটির সম্পাদক রতন ঘোষ৷
পরবর্তী সময় তিনি এইবিষয়ে এলাকার লোকজনদের সঙ্গে কথা বলেন৷ রতন ঘোষ সব বিষয়ে জেনে মন্ডল নেতৃত্বদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন ও এলাকার লোকজনদের সহায়তা করার পরামর্শ দেন৷ অবশেষে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় বাইখোড়া থানার পুলিশ৷ আরক্ষাদপ্তরের কর্মীরা প্রসাশনের সঙ্গে কথা বলে এলাকার লোকজনদের খাবারের ব্যাবস্থা করে দেবার পতিশ্রুতি দিলে এলাকবাসী নিজ ঘরে ফিরে যান৷ এইদিনের খাদ্যের অভাবের কথাশুনে মহকুমা শাসকের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ণ তুলতে শুরু করেদিয়েছে অভিজ্ঞ মহল৷ এখন দেখার বিষয় এলাকাবাসীর খাবারের ব্যাবস্থা করতে প্রসাশন কি প্রকার উদ্যোগ গ্রহন করেন৷
2020-07-04