নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৬ মার্চ৷৷ এখন পর্যন্ত ত্রিপুরায় একজনও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হননি৷ তবে ২,৫৩৩ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন৷ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে রাজ্য সরকারের গৃহীত পদক্ষেপ সমূহ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের প্রেস কনফারেন্স হল-এ সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন স্বাস্থ্যসচিব ড় দেবাশিস বসু৷
তিনি জানান, ত্রিপুরায় এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কোনও রোগীর সন্ধান পাওয়া যায়নি৷ তবে, এখন পর্যন্ত ২৫৩৩ জন কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন৷ তবে, এখনও পর্যন্ত মোট ২৬৯৬ কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন৷
তাঁর বক্তব্য, মোট ১৬৩ জনের ১৪ দিনের পরীক্ষা শেষ হয়েছে৷ তাতে ১৬৩ জনেরই নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে৷ কোভিড-১৯ সারভেইলেন্স রিপোর্ট অনুযায়ী পশ্চিম জেলায় ৩৮৩ জন, সিপাহীজলা জেলায় ১৭৫ জন, খোয়াই জেলায় ৪৯৯ জন, গোমতী জেলায় ২৮৭ জন, দক্ষিণ জেলায় ৫৩৩ জন, ধলাই জেলায় ২১৪ জন, ঊনকোটি জেলায় ৪০২ জন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ৪০ জন সন্দেহজনক কোরানা আক্রান্ত হিসেবে নজরদারীতে রয়েছে৷ তাদরে মধ্যে পশ্চিম জেলায় ২৩ জন, সিপাহীজলা জেলায় ৩ জন, খোয়াই জেলায় ২ জন, গোমতী জেলায় ৩ জন, ধলাই জেলায় ১ জন, ঊনকোটি জেলায় ২ জন এবং উত্তর ত্রিপুরা জেলায় ১ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে৷ হাসপাতালে ভর্তি মোট ৩৫ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে৷ তাদের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে৷
স্বাস্থ্যসচিব আরও জানান, আজ গোলবাজারের বাণিজ্য ভবনে ব্যবসায়ী সমিতির সঙ্গে এক বৈঠক হয়েছে৷ বৈঠকে বাজারের খাদ্য সামগ্রী মজুতের হিসাব নিয়ে আলোচনা হয়েছে৷ তিনি বলেন, আগরতলার ৬টি বাজারে খাদ্য দফতরের মনোনীত নোডাল অফিসার নিযুক্ত করা হয়েছে৷ তাঁরা প্রতিটি বাজারের খাদ্যদ্রব্যের যোগান, মজুত এবং কোনও সমস্যা থাকলে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন৷ তাঁর দাবি, সরকারি সিদ্ধান্ত অনুসারে শুধুমাত্র অত্যাবশ্যক পরিষেবার সাথে যুক্ত দোকানগুলি খোলা থাকবে৷ অত্যাবশ্যক নয় এমন দোকান যাতে খোলা না থাকে সে বিষয়ে নজর রাখা হবে৷ গণমাধ্যম-সহ প্রয়োজনীয় পরিষেবার সাথে যুক্ত ব্যক্তিদের যাতায়াতের সুবিধার জন্য আজ রাজ্যের মুখ্যসচিব একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন৷ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে তাদেরকে জেলাশাসক ও মহকুমাশাসকের কাছ থেকে পাস সংগ্রহ করতে হবে৷ পাশাপাশি প্রত্যেকের কাছে সচিত্র পরিচয়পত্র রাখার জন্যও স্বাস্থ্যসচিব আবেদন রাখেন৷
এদিকে এক প্রশ্ণের উত্তরে আইজিপি (আইন-শৃঙ্খলা) জি এস রাও জানান, কোনও কোনও ক্ষেত্রে পুলিশ প্রশাসনের একাংশ কর্মী জনসাধারণের সঙ্গে অনভিপ্রেত আচরণ করেছেন বলে অভিযোগ এসেছে৷ সে বিষয়ে দফতরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ অন্যদিকে, খাদ্য দফতরের অধিকর্তা হীরেন্দ্র দেববর্মা জানান, রাজ্যে বর্তমানে প্রয়োজনীয় পণ্য সামগ্রীর মজুত পর্যাপ্ত পরিমাণে রয়েছে৷ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের আমদানি যাতে অব্যাহত থাকে সে বিষয়ে দফতর নজর রাখছে৷