নয়াদিল্লি, ৬ মার্চ (হি.স.): আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিবিসি আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে অস্বীকার করলেন ভারতীয় সরকারি সংবাদ মাধ্যম প্রসার ভারতীর চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) শশী শেখর ভেম্পতি। আগামী ৮ মার্চ ‘বিবিসি ইন্ডিয়ান স্পোর্টসউইম্যান অব দ্য ইয়ার অ্যাওয়ার্ড নাইটস’ শীর্ষক অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে | যেখানে বিবিসির পক্ষ থেকে আমন্ত্রন জানান হয় ‘প্রসার ভারতী’র সিইওকে | তবে দিল্লির হিংসার ঘটনায় পক্ষপাতমূলক খবর করার অভিযোগ তুলে বিবিসির ওই আমন্ত্রণ প্রত্যাখান করেন শশী শেখর ভেম্পতি।
জানা গেছে, ভেম্পতি বিবিসির মহাপরিচালক এমএস টনি হলকে একটি চিঠি লিখেছিলেন এবং তাকে ৮ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে চলা ওই অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, যে বিবিসি সাংবাদিক যোগিতা লিময়ের রিপোর্টে দিল্লির হিংসার সময় পুলিশকে একতরফাভাবে দেখিয়েছেন, তবে এই প্রতিবেদনে সেই জনতার কথা উল্লেখ করা হয়নি যারা দিল্লি পুলিশের হেড কনস্টেবল রতনলালকে হত্যা করেছিল এবং ডিসিপিকে আক্রমণ করেছিল। বা প্রতিবেদনে আইবি অফিসার অঙ্কিত শর্মার নির্মম হত্যার কথাও উল্লেখ করা হয়নি, ওই আইবি অফিসারের দোষ ছিল কেবল তিনি আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দা।
প্রসার ভারতীর সিইও ভেম্পতি চিঠির শেষে লিখেছিলেন যে, আমি আরও বুঝতে পেরেছি যে আপনি শীঘ্রই বিবিসির মহাপরিচালক পদত্যাগ করবেন। ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে শুভেচ্ছা জানাচ্ছি এবং আমি আশা করি যে একজন পাবলিক ব্রডকাস্টার হিসাবে বিবিসি দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে এবং জনস্বার্থে প্রদত্ত সেবাটিকে আগের মত করে দেবে।
উল্লেখ্য, বিবিসির নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ওটা এই প্রথম নয়, এর আগেও বহুবার এই ঘটনা ঘটেছে। গত বছর, বিখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা শেখর কাপুর জম্মু ও কাশ্মীরের বিবিসির রিপোর্টকে পক্ষপাতিত্ব বলে অভিহিত করেছেন। তিনি তার টুইট বার্তায় বলেছেন যে বিবিসি ভারত এবং যুক্তরাজ্যের কাছে আলাদা দৃষ্টিভঙ্গি নিয়েছে। তিনি যখন জম্মু কাশ্মীরকে ‘ভারত অধিকৃত কাশ্মীর’ বলে ডাকেন, তখন আয়ারল্যান্ডকে কেন ‘ব্রিটিশ অধিকৃত আয়ারল্যান্ড’ বলা হয় না? একইভাবে, নৈরাজ্যবাদের সময় এক সাক্ষাত্কারে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিবিসির সাংবাদিকতা এবং নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন করেছিলেন।