BRAKING NEWS

বিদ্যার দেবী সরস্বতীর দু’দিনের আরাধনায় পরিলক্ষিত হল ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জানুয়ারি৷৷ বুধবার ও বৃহস্পতিবার সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমী ঘিরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়৷ এবছর নির্ঘণ্ট অনুযায়ী সরস্বতী পুজো হয় ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি, বুধ ও বৃহস্পতিবার৷ সরস্বতী পুজো বা বসন্ত পঞ্চমী মানেই হলুদ শাড়ি আর হলুদ পাঞ্জাবি পরার দিন৷ সরস্বতী পুজো মানেই, সকাল সকাল স্নান সেরে সেজে-গুজে মায়ের চরণে অঞ্জলি দেওয়ার ধুম, সারাটা দিন বন্ধু ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দে কাটানো৷ আর, ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে সুকল, কলেজ, প্যান্ডেলে মায়ের চরণে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া, ছোটদের হাতে খড়ি৷ সরস্বতী পুজোর দিন ছেলে মেয়ে নির্বিশেষে হলুদ পোশাক পরে বিদ্যা ও সংগীতের দেবী সরস্বতীর পূজা করে৷ সরস্বতী পুজোর দিনটিকে বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়৷


ধরা হয়, এই দিন থেকে শীত শেষ হয়ে বসন্ত কালের সূচনা হল৷ ঋড়ঋতুর শেষ ঋতু হল বসন্ত৷ ঋতুরাজ বসন্তকে অন্যতম ভাগ্যবান মরশুম হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং এই কালকে প্রতীকায়িত করে বাসন্তী রং৷ আর, বাসন্তী ও হলুদ রং একে অপরের পরিপূরক৷ এই সময় উজ্জ্বল সূর্যের আলোয় প্রকৃতি ঝলমল করে উঠে৷ বসন্ত কাল ঝলকানো তাপ, কঠোর শীত এবং ভারী বৃষ্টির মধ্যে ভারসাম্যতা বজায় রাখে৷ এই ঋতুতে গাছে গাছে নতুন পাতা গজায়, তাজা ফল এবং ফুট ফুটে৷ জ্ঞানের বা বিদ্যার আরাধ্যা দেবী বাগদেবী সরস্বতী৷ মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে বাগদেবীর বন্দনায় মেতে উঠেন পড়ুয়া সহ ধর্মপ্রাণ মানুষজন৷


এবছর শুক্লা পঞ্চমী তিথি দু’দিনে পড়ায় বাগদেবীর আরাধনায় বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হচ্ছে সর্বত্র৷ কোথাও প্রথমদিন অর্থাৎ বুধবারে আবার কোথাও দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবারে বাগদেবীর আরাধনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে৷ সুকল, কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষাঙ্গন এমনকি বাড়িঘরেও বাগদেবীর আরাধনায় মেতে উঠেছেন শিক্ষার্থী সহ ধর্মপ্রাণ মানুষজনেরা৷ সাতসকালে ঘুম থেকে উঠেই স্নান করে শুচিবস্ত্রে পুজার জন্য প্রস্তুত হন ছাত্রছাত্রীরা৷ এদিন প্রত্যেকের মধ্যেই বাড়তি উৎসাহ উদ্দীপনা পরিলক্ষিত হয়৷ কেননা সরস্বতী পূজা মানেই বাঁধনহারা আনন্দে ভেসে বেড়ানোর দিন৷ এদিন অভিভাবকদের তেমন শাসন বাড়ন থাকে না৷ বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে চুটিয়ে আড্ডা ও হাতেহাত ধরে ঘুরে বেড়ানোর দিন৷ এযেন অঘোষিত ভ্যালেন্টাইনের নামান্তর৷


ঠিক সেই চিত্রই পরিলক্ষিত হলো সরস্বতী পুজার দিনে৷ কচিকাঁচা থেকে বড়রা সবাই হলুদ সহ নানারঙের শাড়ি পরিহিত হয়ে পুজায় হাজির৷ সাজগোঁজ অন্যান্য দিনের চেয়ে সম্পূর্ণ পৃথক৷ প্রত্যেকেই মায়ের চরণে পুষ্প পত্তাঞ্জলী প্রদান করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করেন ভাল ফলাফলের জন্য৷ সেই শ্রদ্ধা ও আত্মবিশ্বাস সারা বছর ছাত্রছাত্রীদের পড়াশুনায় উদ্দীপনা জোগায়৷ সকাল থেকেই বাগদেবীর আরাধনায় মত্ত হয়ে উঠেন শিক্ষার্থীরা৷ অঞ্জলী প্রদানের পর প্রসাদ গ্রহণ করেই আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠে সকলে৷ এযেন শিশু থেকে কিশোর কিশোরী ও যুবক যুবতীদের মনে নতুন ভবিষ্যতের স্বপ্ণ ফেরি করে বেড়ানোর উদ্দীপনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *