ঢাকা, ৩১ জানুয়ারি (হি.স.) : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত চিনে আটকে পড়া নাগরিকদের ফিরিয়ে আনতে বিশেষ বিমান পাঠাচ্ছে বাংলাদেশ। শুক্রবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ঢাকা বিমানবন্দর থেকে চিনের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবে বিমানটি। বাংলাদেশ বিমানের উপমহাব্যববস্থাপক তাহেরা খন্দেকার জানিয়েছেন, ৪১৯ আসন বিশিষ্ট বিমানটি ইউহানে যাবে। বিদেশরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মহম্মদ শাহরিয়ার আলম তাঁর ফেসবুক পেজে লেখেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের নাগরিক যারা চিন থেকে ফিরতে চাইবেন, তাঁদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এ নিয়ে বাংলাদেশ চিন সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে।’ চিনের হুবেই থেকে ইউহান প্রদেশে ছড়িয়ে পড়া মারণ ভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়েছে বাংলাদেশে। সে দেশের বহু মানুষজন মূলত ব্যবসার কারণে চিনে যাতায়াত করে থাকেন। এই মুহূর্তে চিনের বেশ কয়েকটি প্রদেশে হু হু করে সংক্রমণ বাড়ছে ‘করোনাভাইরাস’-এর। বাংলাদেশের ইমিগ্রেশন পুলিশের সুপার এবং ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ওসি ইমিগ্রেশন ছাড়াও সংশ্লিষ্ট সবক’টি দপ্তরে এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা। উল্লেখ্য, চিনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। সর্দি, কাশি, জ্বর এবং শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হতে থাকেন একের পর এক মানুষ। ক্রমশ মহামারির আকার নিয়েছে করোনা ভাইরাস। এখনও পর্যন্ত মোট ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৬৯২ জন। হু’র দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট ১৮টি দেশে ১০০ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর সমীক্ষা বলছে, ঝুঁকির তালিকায় যে দেশগুলি রয়েছে, তার মধ্যে প্রথম নামটি হল থাইল্যান্ড। এরপরেই আছে জাপান এবং হংকং।