BRAKING NEWS

দাবানলের আগুনে জ্বলছে ভিক্টোরিয়া, আটকে বহু মানুষ

সিডনি, ৩১ ডিসেম্বর (হি. স.) : অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়ায় দাউ দাউ করে জ্বলছে দাবানলের আগুন। দমকা হাওয়ায় হু হু করে ছড়িয়ে পড়ছে আগুন। আর তার জেরেই আটকে পড়েছে বহু মানুষ। বাড়ি ছেড়ে সমুদ্র সৈকতে আশ্রয় নিতে হয়েছে মানুষজনকে। মঙ্গলবার সকালের আকাশও ধোঁয়ায় পুরোপুরি অন্ধকার হয়ে রয়েছে।


এদিন অস্ট্রেলিয়ায় ৪০০০ মানুষ ঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন, কারণ শহর জুড়ে এমার্জেন্সি সাইরেন বাজানো হচ্ছে ভোর থেকেই।প্রশাসনের ক্রমাগত প্রচেষ্টা সত্ত্বেও দাবানল নিয়ন্ত্রণে আসার বদলে বেড়েই চলেছে। হাওয়ার দাপট এতটাই বেশি, উল্টে যাচ্ছে ট্রাক। আর তাতেই প্রাণ হারিয়েছেন এক দমকলকর্মী।
অস্ট্রেলিয়ার চারটি প্রদেশে দাবানলের ধ্বংসলীলা সবচেয়ে বেশি। তার মধ্যে অন্যতম ভিক্টোরিয়া। সেখানে প্রবল হাওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে বলে পর্যটক ও স্থানীয়দের অন্যত্র সরানোর নির্দেশ জারি হয়েছে। ভিক্টোরিয়ার সীমান্তবর্তী আলবারিতেই সোমবার ঘটে দুর্ঘটনা। সেখানে আগুন নেভানোর কাজে গিয়েছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলসের ‘রুরাল ফায়ার সার্ভিসে’র কর্মীরা। প্রবল হাওয়ায় তাঁদের দু’টি ট্রাক ধাক্কা খায়, মৃত্যু হয় ট্রাকে থাকা এক দমকলকর্মীর। অন্য দুই দমকলকর্মী আংশিক দগ্ধ হয়েছেন।


ভিক্টোরিয়ার সোমবারই নতুন করে ৭০টি জায়গায় আগুন লাগে। ২০টি জায়গা এখনও জ্বলছে, সেই কারণেই রবিবার তড়িঘড়ি ভিক্টোরিয়া খালি করার নির্দেশ জারি করা হয়। ভিক্টোরিয়ার ইস্ট গিপসল্যান্ড খুবই জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। উপকূলবর্তী এই এলাকায় বর্ষশেষে কমপক্ষে ৩০,০০০ পর্যটক ভিড় জমিয়েছিলেন। নির্দেশিকা জারির সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সরানো হয় স্থানীয়দেরও। একটি শহরেই ৯০০ বাড়ি ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। সংখ্যাটা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
হাওয়ার বেগ কোনও কোনও জায়গায় ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার। সেটাই মঙ্গলবার থেকে আরও বাড়ার সম্ভাবনা। আর তাতেই চিন্তা বাড়ছে প্রশাসনের।
ভিক্টোরিয়ার এমার্জেন্সি ম্যানেজমেন্ট কমিশনার অ্যান্ড্রু ক্রিসপের কথায়, ‘খুবই বিপজ্জনক পরিস্থিতি। প্রথমে প্রশাসন জানিয়েছিল সকলে নিজের নিজের শহরেই নিরাপদ। কিন্তু পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাওয়ায় শহর খালি করার নির্দেশ জারি করতে বাধ্য হই আমরা। কিন্তু যাঁরা এখনও যেতে পারেননি, তাঁদের ভিক্টোরিয়া থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া সমস্যা। দাবানল যে গতিতে ছড়াচ্ছে, তাতে অধিকাংশ রাস্তা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। মানুষকে নিরাপদে সরানোই এখন আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *