ধর্মনগরে উপর্যুপরি হত্যাকান্ড, প্রতিবাদে সভা মহিলা মোর্চার

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১ সেপ্ঢেম্বর৷৷ বীনা দে হত্যাকারী রজত তাঁতীর আমৃত্যু সশ্রম কারাবাসের শাস্তি ঘোষণা করেন শনিবার উত্তর ত্রিপুরার জেলা ও দায়রা বিচারক গৌতম সরকার৷ এরপর ধর্মনগর মণ্ডলের মহিলা মোর্চা, যুব মোর্চার উদ্যোগে বীনার আত্মার শান্তি কামনা করে ধর্মনগর নেতাজী মূর্তির পাদদেশে এক শোক সভার আয়োজন করা হয়৷ সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন নারী নেত্রী রুপালি অধিকারি ত্রিপুরা মহিলা কমিশন এর চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী, মণ্ডল সভাপতি অলকেশ আদিত্য, সমাজসেবী রঞ্জন গোস্বামী, সহ অন্যান্য নেতৃত্বরা৷


ধর্মনগরের বীনা দে হত্যাকারীর আজ আমৃত্যু সাজা ঘোষণায় ধর্মনগরবাসী এবং প্রয়াতের পরিবার পরিজনরা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন৷ তার আত্মার চির শান্তি কামনা করে ধর্মনগরে শোকসভা সংগঠিত করা হয়৷ উল্লেখ্য, বিগত এক মাসের মধ্যে ধর্মনগের আরও দুটি হত্যার প্রতিবাদে এই সভার আয়োজন করা হয়৷ পরিকল্পিতভাবে গৃহবধূ সোমাকে যারা হত্যা করেছে তার প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবিতে ও গৃহবধূ হত্যাকারীর কঠোর শাস্তি আবেদন জানিয়ে এদিনের সভা অনুষ্ঠিত হয়৷ সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নারীনেত্রী রুপালি অধিকারি বলেন, নতুন সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর নারী নির্যাতন কিছুটা কমেছে, কিন্তু এক মাসের মধ্যে আরও কিছু নরপিচাশ এ ধরনের ঘনটা সংগঠিত করেছে৷


নারীদের উপর অত্যাচার ও তাদের খুন করা হচ্ছে৷ নারী নির্যাতনের পেছনে কারণ হচ্ছে নেশা দ্রব্য৷ এই নেশা সামগ্রী ব্যবহার করে এই নারী নির্যাতন দিন দিন বেড়েই চলছে৷ তিনি আরো বলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের স্বপ্ণ হলো নেশা মুক্ত ত্রিপুরা গড়ার ৷ সেই স্বপ্ণ ধীরে ধীরে বাস্তবে পরিলক্ষিত হতে চলেছে৷ ত্রিপুরা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বর্ণালী গোস্বামী বলেন , আজকের এই সভায় বীনার আত্মার শান্তি পাবে৷ তার আত্মার সদ্গতি কামনাতেই এই সভা৷


বিগত এক মাসে নারী নির্যাতন বেড়ে গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ ধর্মনগরে এক মাসে যে নারী নির্যাতত সংগঠিত হয়েছে তার সঠিক বিচার পাইয়ে দেবে মহামান্য আদালত৷ এদিকে অলকেশ আদিত্য বলেন কিছুদিন আগে সোমা দাসকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে তার সঠিক তদন্ত না করে জামাই আদরে বসিয়ে রাখলেন সিপিএম নেতা সমীরণ দাসকে৷ এমনটাই বক্তব্য রাখলেন অলকেশ আদিত্য৷ তিনি আরো বলেন, সিপিএম আমলে যেভাবে প্রশাসন চলছিল সেইভাবে চলছে ধর্মনগরের মহিলা থানা৷
মহিলা থানার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ উঠছে৷

অভিযোগ অনেকক্ষেত্রেই অভিযোগের সঠিত তদন্ত না করে আসামিকে ছেড়ে দেন৷ সোমা দাসের মামি ও অমিতা বোন কেঁদে কেঁদে বলেন যে, বীনা হত্যা মামলার মত সঠিক তদন্ত করে তাদের হত্যাকারীদের কঠোর শাস্তির জন্য যেন ব্যবস্থা করে প্রশাসন৷ বীনার মা অশ্রুজলে কেঁদে কেঁদে বললেন, বিনার মতো ঘটনা আর যাতে কারোর সাথে না হয়৷ কোন মায়ের কোল যাতে এইভাবে খালি না হয়৷ বীনার শোক সভায় উপস্থিত সকলেই আদালতের ভূমিকায় সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন৷ এ ধরণের রায়ের ফলে আদালতের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বেড়ে যাবে বলে তারা অভিমত ব্যক্ত করেন৷