নয়াদিল্লি, ৭ আগস্ট (হি.স.): চিরঘুমে শায়িত হলেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা প্রবীণ বিজেপি নেত্রী সুষমা স্বরাজ। জনপ্রিয় ছিলেন বহুকাল আগে থেকেই, কিন্তু প্রথম নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিদেশমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন সুষমা। প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ দেশের বর্তমান ও প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। স্তব্ধ উপ-রাষ্ট্রপতিও। সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের বার্তা, ‘সুষমা স্বরাজের মৃত্যুর দুঃসংবাদ শুনে দুঃখিত। প্রিয় নেত্রীকে হারালেন দেশবাসী। দেশের জনগণের স্বার্থে কাজ করার জন্য তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’ সুষমার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের বার্তা, ‘সুবক্তা, অসাধারণ নেত্রী এবং বিচক্ষণ সাংসদ সুষমা স্বরাজের প্রয়াণে স্তব্ধ। তিনি চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।’
সুষমার অকস্মাৎ প্রয়াণে স্তব্ধ উপ-রাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু। শোকবার্তায় উপ-রাষ্ট্রপতি এম বেঙ্কাইয়া নাইডু জানিয়েছেন, ‘সুষমা স্বরাজের অকস্মাৎ প্রয়াণে স্তব্ধ। তাঁর মৃত্যু দেশবাসী এবং আমার নিজের কাছে বিরাট বড় ক্ষতি।’ সুষমার রাজনৈতিক জীবন শুরু এবিভিপি-র সদস্য হিসেবে। জরুরি অবস্থার পরে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। ১৯৭৭ সালে দেবীলালের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিজেপি হরিয়ানায় ক্ষমতা দখল করলে ২৭ বছর বয়সে শিক্ষামন্ত্রী হন সুষমা। ১৯৯০ সালে রাজ্যসভার সাংসদ হিসেবে জাতীয় রাজনীতিতে আসেন। ১৯৯৮ সালে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির ঘটনায় সরকার পড়ে যাওয়ায় জাতীয় রাজনীতিতে ফিরে যান তিনি। বাজপেয়ী সরকারে প্রথমে তথ্য-সম্প্রচার মন্ত্রক এবং পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্ব পান। ২০০৯-১৪ সাল পর্যন্ত লোকসভার বিরোধী দলনেতা হিসেবে বিজেপির প্রধান মুখ ছিলেন তিনি। দলে লালকৃষ্ণ আডবাণীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ছিলেন।