নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ৩০ জুলাই৷৷ দেশে প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে৷ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন এনসিটিই চেয়ারপার্সন ড় সতবীর বেদি৷ তাঁর কথায়, শিক্ষকরাই দেশের ভবিষ্যত গড়ার কারিগর৷ তাই, গুণগত শিক্ষার প্রশ্ণে শিক্ষক শিক্ষণে নিত্যনতুন পন্থা অবলম্বন করতে হবে৷
এমারজিং ট্রেন্ডস ইন টিচার এডুকেশন শীর্ষক একদিনের এক আলোচনা সভা আজ আগরতলার স্টেট গেস্ট হাউসের কনফারেন্স হল-এ অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ উচ্চশিক্ষা দফতরের রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযানের স্টেট প্রজেক্ট ডিরেক্টরেট এই সভার আয়োজন করেছিল৷
সভায় মূল আলোচ্য বিষয় ছিল, বর্তমান সময়ে দেশে ও রাজ্যের শিক্ষক শিক্ষণ পাঠ্যক্রম, ভারতীয় সংবিধান প্রদত্ত শিশুদের অধিকার, জুভেনাইল অ্যাক্ট, পসকো অ্যাক্ট, ডিজেবিলিটি অ্যাক্ট সম্পর্কে শিক্ষক-শিক্ষিকারা কতটুকু সচেতন, লাইফ স্কিল কোর্স, ইনক্লুসিভ এডুকেশান, ইনোভেটিভ টেকনিকস ইন টিচার এডুকেশন ইত্যাদি৷ আজকের সভায় সারা রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন স্তরের ডায়েট, বি.এড, আইএএসই এবং মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ-অধ্যক্ষাগণ, বি.এড ও এম.এড-এর ছাত্র-ছাত্রী-সহ শিক্ষক-শিক্ষিকাগণ উপস্থিত ছিলেন৷
আজকের এই সভার উদ্বোধন করেন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার্স এডুকেশনের চেয়ারপার্সন ড় সতবীর বেদি৷ আলোচনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে প্রায় ২৬ কোটি ছেলেমেয়ে সুকলে যাচ্ছে৷ তাদের জন্য শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রয়োজন ৯০ লক্ষ৷ কিন্তু, এখনও প্রায় ৩ লক্ষের মতো শিক্ষকের ঘাটতি রয়েছে সারা দেশে৷ তাঁর মতে, ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে এই ঘাটতি মেটানো খুবই জরুরি৷
সতবীর বলেন, একটি ছেলে বা মেয়ে যখন তার শিক্ষাজীবন শুরু করে তখন তার কাছে ভালো বা মন্দ বোঝার কিছুই থাকে না৷
শিক্ষার গুণগত মানের উপরই তাদের ভালো বা খারাপ হওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে৷ সেদিক দিয়ে চিন্তা করলে শিক্ষকরাই একটি জাতি নির্মাণ করেন৷ তাঁর দাবি, শিক্ষকরাই দেশের ভবিষ্যত গড়ার কারিগর৷ একজন ভালো শিক্ষকের গুণগান ছাত্র-ছাত্রীরা সারাজীবন ধরেই করে৷
আলোচনা সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে সভার সভাপতি তথা মুখ্যসচিব ড় ইউ ভেঙ্কটেশ্বরলু বলেন, ছাত্রছাত্রীদের সবসময় প্রেরণা ও উৎসাহ প্রদান করা দরকার৷ যে ছাত্র বা ছাত্রী ছাত্রজীবনের প্রথম পর্যায়ে পিছিয়ে থাকে, সে সব সময় সে-রকমই থাকবে শিক্ষক ও সমাজকে সেই ধারণা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে৷ তিনি বলেন, একজন ভালো শিক্ষক যেমন সমাজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারেন ঠিক তেমনি একজন খারাপ শিক্ষক সমাজকে ধবংসও করতে পারেন৷
আজকের এই আলোচনা সভায় অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব সৌম্যা গুপ্তা, বিদ্যালয় শিক্ষা (হায়ার এডুকেশন) দফতরের অধিকর্তা ইউ কে চাকমা, ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য অরুণোদয় সাহা, শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের (দিল্লি) সদস্য অনুরাগ কুণ্ডু, টিআরবিটি-র চেয়ারম্যান অনুপ কুমার দত্ত প্রমুখ৷