নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৪ জুলাই ৷৷ আগামী ২৭ জুলাই ত্রিপুরায় ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েতের যে নির্বাচন হতে যাচ্ছে তাকে প্রহসনে পরিণত করার চেষ্টা করছে বিজেপি সরকার এবং ক্ষমতাসীন দলের আশ্রিত দুষৃকতীরা৷ এই নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য দায়ী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেব৷ এই অভিযোগ ত্রিপুরা রাজ্য বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন ধরের৷
রবিবার এক প্রেসমিটে তিনি এই অভিযোগ করেছেন৷ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার জন্য তিনি বামফ্রন্টের তরফে সরকারের চিন্তাধারার তীব্র নিন্দা জানান৷ কারণ এক দিকে বিপ্ল কুমার দেব মুখ্যমন্ত্রী, আবার তিনি দলের প্রদেশ সভাপতিও৷ রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে সমস্যা হতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বামফ্রন্টের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একাধিকবার দেখা করতে চাইলেও তিনি সময় দেননি৷ তিনি বামফ্রন্টের প্রতিনিধিদের তাঁদের বক্তব্য লিখিতভাবে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন, তাঁরা এর তীব্র বিরোধিতা করেছেন বলেও জানান বিজন৷ নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করার প্রতিবাদ জানিয়ে আগামী ১৮ জুলাই আগরতলায় ধরনা কর্মসূচি পালন করবে বামফ্রন্ট বলেও জানান বিজন ধর৷
রাজ্যে প্রায় সব কয়টি ব্লকে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে বাধ্য কিংবা জমা করতে বাধা দেওয়া হয়েছে৷ এমন-কি পশ্চিম জেলার অন্তর্গত ডুকলি ব্লকে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে বিডিও-র সামনে বিজেপি আশ্রিত দুষৃকতীরা মনোনয়নপত্র টেনে নিয়ে ছিঁড়ে ফেলে৷ এই বিষয়ে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা বিডিও-র কাছে আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানালে তিনি কিছু দেখেননি বলে বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ করেন বামফ্রন্ট নেতা বিজন ধর৷
তিনি বলেন, যে সকল বিরোধী প্রার্থী তীব্র বাধা উপেক্ষা করে মনোনয়পত্র জমা করেছেন তাদেরকে নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের চেষ্টা চালানো হয়েঠে৷ তবে যতই বাধাবিপত্তি আক্রমণ চলুক না-কেন, বামফ্রন্ট মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার লড়াইয়ের জন্য নির্বাচনী ময়দানে থাকবে বলেও এদিন জানিয়ে দেওয়া হয়ছে বামফ্রন্টের তরফে৷
বিজন বলেন, রাজ্যের নগর সংস্থাগুলির উপ-নির্বাচনে বিরোধীরা ৯৬ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেনি৷ আর এখন পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিরোধীরা ৮৬ শতাংশ আসনে প্রার্থী দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ যা গণতন্ত্রের পক্ষে অশনি সঙ্কেত৷ বিজেপি সরকার ত্রিপুরার ক্ষমতায় আসার পর একটি নির্বাচনও অবাধ ও শান্তিপূর্ণ হয়নি বলে অভিযোগ করেন তিনি৷ আজকের সাংবাদিক সম্মেলনে সিপিআইএম-এর ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির সম্পাদক গৌতম দাস-সহ শরিক দলগুলির কয়েকজন নেতা উপস্থিত ছিলেন৷