BRAKING NEWS

ক্লাস চলাকালে সাতজন ছাত্রী আচমকা অসুস্থ বিলথৈ বিদ্যালয়ে

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ২৮ জুন৷৷ উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগরের পানিসাগর মহকুমার বিলথৈ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ৭ জন ছাত্রী শুক্রবার সুকল চলাকালে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে৷ তাদের প্রত্যেককে পানিসাগর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে৷ প্রচণ্ড গরম এবং অস্বচ্ছ পরিবেশের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে৷

পানিসাগরের বিলথৈ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়টি দীর্ঘদিন ধরেই পরিকাঠামোগত নানা সমস্যায় জর্জরিত৷
ওই সুকলের ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ৬৩৮জন৷ এর মধ্যে নবম শ্রেণির ছাত্রছাত্রী সংখ্যা ১০৪ জন৷ একটি কক্ষের মধ্যে ১০৪ জন ছাত্রছাত্রীর পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করা রীতিমতো কষ্টকর৷ সেজন্য বাধ্য হয়ে সুকল কর্তৃপক্ষ নবম শ্রেণিকে দুটি ভাগে বিভক্ত করে পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করেন৷

কিন্তু পর্যাপ্ত কক্ষ না থাকায় একটি অসচ্ছ কক্ষেই তাদের পঠনপাঠনের ব্যবস্থা করতে হয়৷ এই কক্ষটির পাশেই রয়েছে সায়েন্স ল্যাবরেটরি৷ সুকল ঘরের পাশেই গাছপালার ডাল নুইয়ে পড়েছে৷ পেঁচা সহ নানা পাখি প্রায়ই উপদ্রপ করে৷ তাতেও ভীতসন্ত্রস্ত ছাত্রছাত্রীরা৷ এরই মধ্যে দাবদাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে৷ শুক্রবার ক্লাস চলাকালেই একের পর এক ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে৷ পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সুকল কর্তৃপক্ষ তাদেরকে হাসপাতালে পাঠানোর উদ্যোগ নেন৷


তরিঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য খবর পাঠানো হয় দমকল বাহিনীকে৷ খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর কর্মীরা ছুটে আসে বিলথৈ দ্বাদশ শ্রেণি বিদ্যালয়ে৷ সেখান থেকে অনামিকা নাথ, সাগরিকা নাথ, রেশমি নাথ, মৌসুমী নাথ, রুকসানা বেগম, তনুশ্রী দত্ত এবং সায়ন্তিকা আচার্যিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকরা তাদের সুস্থ করে তোলার জন্য সব ধরনের প্রয়াস শুরু করেন৷ তাদের শারীরিক অবস্থা কিছুটা উন্নতি হয়েছে বলে জানা গেছে৷এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে মহকুমা শাসক এল ডার্লং হাসপাতালে ছুটে যান৷

অসুস্থ ছাত্রীদের বিস্তারিত খোঁজ খবর নেন৷ কেন এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে সে সম্পর্কেও বিস্তারিত তথ্য জানার চেষ্টা করেন মহকুমা শাসক৷ প্রাথমিকভাবে যে তথ্য মিলেছে তাতে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ এবং প্রচণ্ড গরমের কারণেই এই ঘটনাটি ঘটেছে৷ বিদ্যালয়টিতে বিদ্যুতের ব্যবস্থা থাকলেও লোডশেডিং হলে ক্লাস করানো রীতিমতো কষ্টকর হয়ে উঠে৷

এদিকে বিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে মেয়াদ উত্তীর্ণ বিভিন্ন খাবার বিক্রি করার অভিযোগও উঠেছে৷ এসব বিষয়েও খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতামত জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অভাবে সুকলের পঠনপাঠন সঠিকভাবে চালানো রীতিমতো কষ্টকর হয়ে উঠেছে৷ এসব বিষয় তিনি একাধিকবার উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নজরেও এনেছেন৷ কিন্তু প্রয়োজনীয় কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *