BRAKING NEWS

সম্পত্তির লোভে দেবরকে হত্যার চেষ্টা, গ্রেপ্তার সৎ ভাইয়ের স্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, চুড়াইবাড়ি, ২১ জুন৷৷ দা দিয়ে কুপিয়ে এক ১৫ বছরের নাবালককে হত্যা করার চেষ্টার মূল মাস্টারমাইন্ড পুলিশের জালে৷ধৃতের নাম রাবিয়া বেগম (২০)৷ কদমতলা থানাধীন ইছাইরপার গ্রামের বাসিন্দা৷ধৃত মহিলাকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷


ঘটনার বিবরণে প্রকাশ, গত ১৯ জুন রাত্রি ৮:৩০ মিনিট নাগাদ কদমতলা থানাধীন ত্রিপুরা বাংলাদেশ সীমান্ত ইছাইরপার এলাকায় মেইন সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে জহুর উদ্দিন ওরফে সাদ্দাম মোবাইলে গেম খেলছিল৷ঠিক তখন একটি কালো রংয়ের পালসার বাইক নিয়ে দুই যুবক জহুরের পাশে দাঁড়িয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে,এমনটাগ্রামবাসীেেদ অভিযোগ৷তখন প্রাণ বাঁচাতে জহুর চিৎকার দিলে আশপাশের মানুষ ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আর সেই সুযোগে ঘটনাস্থল থেকে আক্রমণকারী দুই যুবক বাইক নিয়ে পালিয়ে যায়৷যদিও গ্রামবাসীরা ওই দুই যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলেও ওরা ধারালো অস্ত্র দেখালে গ্রামবাসীরা ভয় পেয়ে যায়৷মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুঠিয়ে থাকা জহুরকে ইয়াকুব নগর বিএসএফ ক্যাম্পের গাড়ি দিয়ে ধর্মনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷খবর দেওয়া হয় কদমতলা থানায়৷


ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কদমতলা থানার এসআই প্রাণজিত মালাকার, হাবিলদার পরেশ দাস সহ বিশাল পুলিশবাহিনী৷ উনারা ঘটনাস্থল সহ হাসপাতালে সরজমিন পরিদর্শন করেন৷এদিকে জহুরের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে কর্তব্যরত চিকিৎসক জহুরকে অন্যত্র রেফার করলে তার আত্মীয় পরিজন অসময়ের শিলচর মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান৷বর্তমানে শিলচর হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে ১৫ বছরের যুবক জহুর উদ্দিন৷ গুরুতর আহত জহুরের পিতার নাম মৃত তহুর মিয়া৷ বাড়ি কদমতলা থানাধীন ইছাইরপার গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডে৷ জহুরের মা ছাড়া আর তার কেউ নেই৷ সৎ মায়ের ঘরে এক ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী রয়েছে কিন্তু জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিবাদের জেরে সৎ ভাই থেকে আলাদা থাকতো জহুর ও তার মা৷ অপরদিকে এলাকাবাসীদের বক্তব্য জায়গা সম্পত্তির বিবাদের জেরে তার সৎ ভাই ও ভাইয়ের স্ত্রী ওই নিষ্পাপ নাবালককে খুনের চেষ্টা করেছিল৷পাশাপাশি কদমতলা থানার পুলিশ একটি মামলা হাতে নিয়ে ইছাইর পার এলাকার নিজ বাড়ি থেকে রাবিয়া বেগম স্বামী মকবুল আলীকে আটক করেছে৷ আজ তাকে ধর্মনগর জেল আদালতে প্রেরণ করা হলে মাননীয় বিচারক শর্তসাপেক্ষে রাবিয়া বেগমের জামিন মঞ্জুর করেন৷

ধৃত মহিলা জহুরের সৎ ভাইয়ের স্ত্রী৷ এদিকে কদমতলা থানার এস আই তথা এই মামলার আইও প্রাজিত মালাকার জানান, উনারা তদন্তে নেমে জানতে পেরেছেন যে,দীর্ঘদিন যাবৎ পৈত্রিক জায়গা সম্পত্তি নিয়ে জহুর উদ্দিন ও তার সৎ ভাই মকবুল আলীর মধ্যে বিবাদ চলছিল৷আর সেই পৈত্রিক জায়গা সম্পত্তির রেশ ধরেই জহুর উদ্দিনের সৎ ভাইয়ের স্ত্রী কিছু লোক লাগিয়ে জহুরকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেছিল৷ সেই মোতাবেক রাবিয়া বেগম নামের ওই মহিলাকে আটক করেছে কদমতলা থানার পুলিশ৷

উনি আরো জানান এই ঘটনায় আরো দুই ব্যক্তি জড়িত রয়েছে যারা ধারালো দা দিয়ে জহুরের মুখ ও মাথায় এলোপাতাড়ি কুপ বসিয়েছিল৷খুব শিগগিরই ওদেরকেও জালে তুলবে পুলিশ৷গোটা ঘটনাটি সুষ্ঠুভাবে তদন্ত করছে কদমতলা থানার পুলিশ৷ উল্লেখযোগ্য যে, ধৃত মূল মাস্টারমাইন্ড রাবিয়া বেগম তথা গুরুতরভাবে আহত জহুর উদ্দিনের সৎ ভাইয়ের স্ত্রী স্বামী মকবুল আলীর সাথে ব্যাঙ্গালুরে থাকতো৷ গত ১৩ জুন ব্যাঙ্গালোর থেকে ইছাইরপার গ্রামের স্বামীর বাড়িতে এসেছিলো৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *