BRAKING NEWS

আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়ন ও সবুজ রাখার মানসিকতা সবার মধ্যে থাকতে হবে : মুখ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিনিধি, আগরতলা, ১৮ জুন৷৷ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব আজ আগরতলার মহারাজা বীরবিক্রম রোডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে আগরতলা মার্ট সিটির অন্তর্গত পাঁচটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন৷ এই প্রকল্পগুলির মধ্যে রয়েছে এম বি বি রোডের আপগ্রেডেশন, এম বি বি কলেজ রোডের আশেপাশের ৩টি জলাশয়ের উন্নতিকরণ, জি’ার হোটেল সংলগ রাণীরপুকুরের উন্নয়ন, ডিমসাগরের দ্বিতীয় জলাশয়ের উন্নয়ন এবং আগরতলা শহরের ২০টি স্থানে অত্যাধুনিক বাসস্ট্যাণ্ড স্থাপন৷ এই পাঁচটি প্রকল্প রূপায়ণে মোট ব্যয় হবে ১৮ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা৷

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব বলেন, রাজ্য সরকার কেন্দ্রীয় সরকারের সহযোগিতায় প্রায় ২০৬২ কোটি টাকা ব্যয়ে আগরতলা শহরকে মার্ট সিটি বানানোর যে পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে তাতে মানুষের জীবনযাত্রার মানও উন্নত হবে৷ কারণ এই প্রকল্পের মধ্যে রয়েছে সুুসংহত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি, বাস, অ্যাম্বলেন্স সহ বিভিন্ন যানবাহনে জি পি এস বসানোর ব্যবস্থা, অত্যাধুনিক বাস স্ট্যাণ্ড স্থাপন, শহরের সৌন্দর্যায়ন ব’দ্ধিতে বিভিন্ন পার্কের নির্মাণ করা, যানবাহনে স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট লাগানো, শহরের গুরুত্বপূর্ণ কিছু সড়কের উন্নয়ন, ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট নির্মাণ ইত্যাদি৷


মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় সরকার যখন মার্ট সিটি প্রকল্পটি চালু করে তখন কিছু নিয়মের কারণে আগরতলাকে মার্ট সিটির অন্তর্ভক্ত করা যায়নি৷ পরবর্তীতে মার্ট সিটির অন্তর্গত কিছু নিয়ম শিথিল করে এবং দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আন্তরিক ইচ্ছায় ২০১৬ সালের ২৫ মে আগরতলাকে মার্ট সিটির অন্তর্ভক্ত করা হয়৷ সেজন্য রাজ্যবাসীর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, আগরতলাকে শুধু মার্ট সিটি বানালেই চলবে না, আমাদের মধ্যেও মার্ট মনোভাব গড়ে তুলতে হবে৷

রাজ্য সরকার আগরতলা শহরকে মার্ট সিটিতে রূপান্তরিত করার পর তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও শহরবাসীকে নিতে হবে৷ আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়ন ও সবুজ রাখার মানসিকতা আমাদের মধ্যে সব সময় থাকতে হবে৷ বর্তমান রাজ্য সরকার আগরতলাকে মার্ট সিটি বানানোর সঙ্গে সঙ্গে তিন বছরের মধ্যে ত্রিপুরাকে মডেল রাজ্য হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যেও বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে৷ রাজ্যে অপরাধ দমনের জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করা হয়েছে৷ বাংলাদেশের সঙ্গে ত্রিপুরার জলপথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে৷ এরজন্য কেন্দ্রীয় সরকারও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে৷ রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নে রাজ্যবাসীর আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির ভাষণে বিধায়ক আশীষ কুমার সাহা বলেন, আগরতলা শহরকে আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে যে প্রকল্পগুলি হাতে নেওয়া হয়েছে সেগুলি রূপায়ণে সময়, সততা ও নিষ্ঠার উপর গুরুত্ব দিতে হবে৷ আগরতলা শহরের সৌন্দর্যায়ন এবং সবুজ ও নির্মল রাখার ক্ষেত্রে মার্ট সিটির প্রকল্পগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন৷ বিধায়ক ডা. দিলীপ কুমার দাস ও আগরতলা পুর নিগমের মেয়র ড. প্রফুল্লজিৎ সিনহা তাদের ভাষণে আগরতলা শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন৷


অনুষ্ঠানে এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মুখ্যসচিব ইউ ভেঙ্কটেশ্বরালু এবং মার্ট সিটি মিশনের মিশন ডিরেক্টর ড. মিলিন্দ রামটেকে৷ এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আগরতলা মার্ট সিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান তথা নগরোন্নয়ন দপ্তরের বিশেষ সচিব কিরণ গিত্যে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *