BRAKING NEWS

দারিদ্রতা, বেকারত্ব, খরার বিরুদ্ধ ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামের ডাক নীতি আয়োগের বৈঠকে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

নয়াদিল্লি, ১৫ জুন (হি.স.) : রাজনৈতিক মতাদর্শ দূরে সরিয়ে রেখে দারিদ্রতা, বেকারত্ব, খরা, বন্যা, দূষণ, দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে নীতি আয়োগের বৈঠকে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াইয়ের ডাক দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। 

শনিবার রায়সিহনা হিলসের রাষ্ট্রপতি ভবনের কালচারাল সেন্টারে নীতি আয়োগের পরিচালন সমিতির বৈঠকের আয়োজন করা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের লেফটানেণ্ট গর্ভনরেরা। কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মালা সীতারমণ, নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার সহ একাধিক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা। নীতি আয়োগের বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দারিদ্রটা্‌, বেকারত্ব, দুর্নীতি এবং হিংসার বিরুদ্ধে সঙ্ঘবদ্ধ লড়াই করতে হবে। খরা এবং পানীয় জলের অভাব দূর করতে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ক্ষমতায়ন এবং জীবনধারণের প্রতিক্রিয়া সহজতর করার জন্য সক্রিয় হবে নীতি আয়োগ। ২০২৪ সালে ভারতকে পাঁচ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতিতে  পরিণত করতে গেলে চ্যালেঞ্জ রয়েছে, কিন্তু সেই লক্ষ্য পূরণ করা যাবে। জনপ্রতি আয় বাড়ানোর জন্য রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশেষ গুরুত্ব দেবে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার। দেশজুড়ে জলের অভাব প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জলাভাব দূর করতে গেলে জল সংরক্ষণের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। জলের প্রতিটি ফোটায় বেশ ফসল ফলনের উপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত। জল চাহিদা এবং জল সরবরাহ ক্ষেত্রে ব্যবস্থাপনার জন্য কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য সরকারগুলির উচিত এগিয়ে আসা। এই ক্ষেত্রে জলশক্তি মন্ত্রক কার্যকর ভূমিকা পালন করবে। 

কৃষকদের আয় সম্পর্কে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা হবে। বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে মাছ চাষ, পশু পালন, উদ্যান চাষ, ফল এবং সবজি চাষ। কৃষিতে কাঠামোগত পরিবর্তন প্রয়োজন। এর জন্য কৃষিতে কর্পোরেট বিনিয়োগ, পণ্য পরিবহন, নিকটবর্তী বাজার নির্মাণ দরকার। দেশজুড়ে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প ফুলেফেপে উঠেছে। 

মাওবাদী দমন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, মাওবাদীদের বিরুদ্ধে লড়াই এখন নির্ণায়ক পরিস্থিতিতে পৌঁছিয়ে গিয়েছে। দ্রুততার সঙ্গে উন্নয়নের মাধ্যমে হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই হবে। স্বাস্থ্য ক্ষেত্রের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে নরেন্দ্র মোদী বলেন, ২০২৫ সালের মধ্যে দেশকে যক্ষ্মা মুক্ত করতে হবে। যে সকল রাজ্যগুলি এখনও আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর করেনি তাদের অবিলম্বে কার্যকর আহ্বান করেন তিনি। প্রতিটি সিদ্ধান্তগ্রহণের ক্ষেত্রে স্বাস্য্র এবং চিকিৎসার উপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হব । সবকা সাথ সবকা বিকাশ সবকা বিশ্বাস প্রকৃত ভাবে কার্যকর করতে পারবে নীতি আয়োগ। কাজ,স্বচ্ছতা,প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবে প্রশাসন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *