BRAKING NEWS

কাঠুয়ায় গণধর্ষণ ও খুনের মামলা : ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল পাঠানকোট আদালত

পাঠানকোট (পঞ্জাব), ১০ জুন (হি.স.): জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ায় ৮ বছর বয়সি নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও খুনের মামলায় ছ’জনকে দোষী সাব্যস্ত করল পাঠানকোটের বিশেষ আদালত| ‘ভয়ঙ্কর’ কাঠুয়া গণধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মোট সাতজন অভিযুক্ত-যথাক্রমে গ্রাম প্রধান সঞ্জি রাম, তাঁর ছেলে বিশাল, দু’জন স্পেশ্যাল পুলিশ অফিসার (এসপিও) দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দর বর্মা এবং হেড কনস্টেবল তিলক রাজ| এদিন মূল অভিযুক্ত সঞ্জি রামের ছেলে বিশাল ছাড়া বাকি ছ’জনকেই দোষী সাব্যস্ত করেছে পাঠানকোটের বিশেষ আদালত| সোমবারই দোষীদের সাজা ঘোষণা করতে পারে আদালত| দোষীদের কমপক্ষে যাবজ্জীবন এবং সর্বাধিক মৃত্যুদণ্ডের সাজা হতে পারে| গত ৩ জুন জেলা-দায়রা আদালতে এই মামলার শুনানি শেষ হয়|

২০১৮ সালের ১০ জানুয়ারি যাযাবর সম্প্রদায়ের এক নাবালিকাকে অপহরণ করা  হয়| এরপর জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়ার একটি মন্দিরে আটকে রেখে, মাদক খাইয়ে গণধর্ষণ করা হয়| এরপর শ্বাসরোধ করে, মাথা থেঁতলে খুন করা হয়| ১৭ জানুয়ারি জঙ্গল থেকে ওই নাবালিকার ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ| ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পর দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিবাদের ঝড় ওঠে| ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে সাতজন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শুরু হয় শুনানি|

কাঠুয়া গণধর্ষণ ও খুনের মামলার তদন্তে নেমে গ্রাম প্রধান সঞ্জি রাম, তাঁর ছেলে বিশাল, জুভেনাইল ভাইপো এবং তার দুই বন্ধু ও দু’জন এসপিও-কে গ্রেফতার করেছিল অপরাধ দমন শাখা| ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-প্রমাণ নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছিল হেড কনস্টেবল তিলক রাজ এবং সাব-ইন্সপেক্টর আনন্দ দত্তকে| এই মামলায় ২০১৮ সালের এপ্রিল মাসে ১৫ পাতার চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *